দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬৭৬তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১১১ জন।
এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৯১৬ জন। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আগের দিন মঙ্গলবার শনাক্ত হয়েছিল দুই হাজার ৪৫৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ এক হাজার ৩০৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় বিভাগে করোনায় কেউ মারা যায়নি, পাশাপাশি দেশের ১৫ জেলায় নতুন আক্রান্ত নেই।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৭ হাজার ৩৯৯টি পরীক্ষায় দুই হাজার ৪৫৮ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৮১ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩২২টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ৩০১টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ এক হাজার ৩০৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ২৬৬ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত চারজনের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও দু’জন নারী। তাদের হাসপাতালে (সরকারি তিন, বেসরকারি এক) মৃত্যু হয়েছে। তিনিসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৮ হাজার ১১১ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৮৯৪ জন, যার শতকরা হার ৮৫ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৪০৬ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ১২ শতাংশ। বাসায় ৭৭৭ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৬। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৯৭৭ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ১০ হাজার ১৩৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত চারজনের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, সত্তরঊর্ধ্ব একজন, আশিঊর্ধ্ব একজন ও নব্বইঊর্ধ্ব একজন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে তিনজন ও চট্টগ্রাম বিভাগে একজন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি ৬১ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ লাখ তিন হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৫ কোটি ৯০ লাখের বেশি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩১ কোটি ৪৩ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ কোটি ১৮ লাখের বেশি।