দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৬৮তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হাজারের উপরে হয়েছে। পাশপাশি শনাক্তের হার বেড়ে প্রায় ছয়ের কাছাকাছি হয়েছে। নতুন সাত জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪৯৬ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৭ হাজার ৩২টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ১৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে নয় লাখ ৭৯ হাজার ৮৮২টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭০টি নমুনা।
এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২৬৪ জনসহ মোট পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৬১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে সাত জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে চার জন পুরুষ ও তিন জন নারী। তাদের সবারই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা আট হাজার ৪৯৬। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৪২৪ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং দুই হাজার ৭২ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত সাত জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব এক জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব তিন জন এবং ষাটোর্ধ্ব তিন জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে চার জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই জন ও বরিশাল বিভাগে এক জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১১ কোটি ৮২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৬ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন নয় কোটি ৩৮ লাখের বেশি।