দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৭৯তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২২ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৬৯০ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২১ হাজার ১০৮টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ১৭২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৬০ হাজার ১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ৪৯ হাজার ১০২টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ লাখ নয় হাজার ১১৯টি নমুনা।
এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৮ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৬৮৭ জনসহ মোট পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৪০৫ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও তিন জন নারী। তাদের মধ্যে সবারই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা আট হাজার ৬৯০। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৫৭০ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং দুই হাজার ১২০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুই জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয় জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই জন, রাজশাহী বিভাগে দুই জন ও বরিশাল বিভাগে এক জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন নয় কোটি ৯৫ লাখের বেশি।