দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৩৯তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের চেয়ে সুস্থ হয়েছেন বেশি জন। আর আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ২২৯ জনে।
একদিনে নতুন করে ৩৮৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৬৪২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৪ হাজার ৪৬৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৮৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৬।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার ২৭৬টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা ৩৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৪২টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৬৪২ জনসহ মোট চার লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে আট জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে সাত জন পুরুষ ও এক জন নারী। তাদের মধ্যে সবারই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা আট হাজার ২২৯। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ২৩৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং ১ হাজার ৯৯৩ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত আট জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব এক জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব এক জন এবং ষাটোর্ধ্ব ছয় জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে পাঁচ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে এক জন, সিলেট বিভাগে এক জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৩ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭ কোটি ৮৯ লাখের বেশি।