‘এখনকার সময় প্রচুর ক্রিকেট খেলা হয়। তিন ধরনের ক্রিকেট এবং আইপিএল রয়েছে। আগামী প্রজন্ম আমার কাছ থেকে টেস্ট ক্রিকেটে একটি বিষয় শিখতে পারে, আমি চেষ্টা করেছি এবং ক্রিকেটের সবচেয়ে বিশুদ্ধ ফরম্যাটে ১০০টি ম্যাচ খেলেছি। যার জন্য আমি গর্বিত।’
টেস্টের প্রতি নিজের মনোভাব ও নিবেদন জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সাদা পোশাকের ফরম্যাটে উদ্বুদ্ধ করতে এমনই বললেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
১২তম ভারতীয় হিসেবে শুক্রবার মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্টে খেলতে নেমেছেন কোহলি। ম্যাচ শুরুর আগে শৈশবের নায়ক ও দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের হাত থেকে ১০০তম টেস্ট ক্যাপ আর স্মারক পান তিনি। স্মরণীয় মুহূর্তে কোহলির পাশে ছিলেন স্ত্রী ও বলিউড তারকা আনুশকা শর্মা।
এসময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া কোহলি ২০১৬ সালে ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির অনূর্ধ্ব-১৫ দলে থাকা অবস্থায় দ্রাবিড়ের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ ও ছবি তোলার কথা স্মরণ করেন। শৈশবের নায়কের থেকে শততম টেস্ট ক্যাপ পেয়ে সম্মানিত বোধ করার কথা জানান। বলেন, তার বাড়িতে দ্রাবিড়ের সঙ্গে তোলা সেই ছবি এখনও আছে।
‘এটা (শততম টেস্ট ক্যাপ) রাহুল দ্রাবিড়ের থেকে গ্রহণের চেয়ে আর বিশেষ কিছু হতে পারতো না। ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির অনূর্ধ্ব-১৫’র সময়ের সেই ছবিটা এখনও আমার বাড়িতে আছে। যখন ছবি তোলার সময় আমি আপনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম! আজ আপনার কাছ থেকে আমার ১০০তম টেস্ট ক্যাপ পেয়েছি। সত্যিই এটি একটি দুর্দান্ত যাত্রা ছিল এবং এটি প্রত্যাশার সঙ্গে বাড়তে থাকে।’
‘ধন্যবাদ রাহুল (দ্রাবিড়) ভাই, এটা সত্যিই আমার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত। আমার স্ত্রী এখানে, আমার ভাই স্টেডিয়ামে আছে। আমার পরিবারের সকল সদস্য, ছোটবেলা থেকে আমার কোচ, সবাই খুব গর্বিত। আমার সমস্ত সতীর্থদের, বছরের পর বছর ধরে সমর্থনের জন্য আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। এটি সত্যিই একটি দলীয় খেলা এবং এই যাত্রা আপনাদের সবাইকে ছাড়া সম্ভব হতো না।’
কোহলিকে শততম টেস্টের জন্য ক্যাপ ও স্মারক তুলে দেয়ার আগে প্রশংসায় ভাসান দ্রাবিড়ও, ‘বিরাট যখন তুমি ছোট ছিলে এবং ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলে, তখন নিশ্চয়ই ভারতের জন্য একটা হলেও টেস্ট ম্যাচ খেলতে চাইতে। আর আজ তুমি এখানে শততম টেস্ট ম্যাচের জন্য দাঁড়িয়ে আছো।’
‘এটা আমাদের খেলাধুলায় দারুণ সবকিছুর একটি প্রমাণ। ঘাম ঝরানো, শৃঙ্খলা, সাহস, দক্ষতা, সংকল্প, ইচ্ছা, মনোযোগ সবকিছুই তোমার ছিল। একটা দুর্দান্ত যাত্রা ছিল তোমার। তুমি কেবল ১০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্যই গর্বিত হবে না, এখানে পৌঁছানোর সেই মহিমান্বিত যাত্রার জন্যও গর্ববোধ করবে।’
‘দারুণ কৃতিত্বের জন্য তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে অভিনন্দন। এটা তোমার প্রাপ্য। আশা করি এটা আগামীতে অনেককিছুর সূচনা মাত্র এবং আমরা ড্রেসিংরুমে যেমনটা বলি, এটাকে (অর্জন) দ্বিগুণ করো।’