‘এটিএম ভাই চেইন স্মোকার ছিলেন। যার প্রভাবে আজ শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে নিয়ে গিয়ে উন্নত অক্সিজেন দিতেই লাইফ সাপোর্টে রাখেন।’
দেশের কিংবদন্তি অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চ্যানেল আই অনলাইনকে কথাগুলো বলছিলেন তার ছোট ভাই সালেহ জামান সেলিম।
লাইফ সাপোর্টে থাকলেও এ টি এম শামসুজ্জামান শঙ্কা মুক্ত বলে জানান সেলিম। তিনি বলেন, এটিএম ভাই যে ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি আমাকে জানালেন যে এটিএম ভাই চেইন স্মোকার হওয়ার কারণে আজকে বিকেলে হঠাৎ তার এজমার সমস্যা শুরু হয়। এমনকি এর প্রভাবে নিউমোনিয়ার ভাবও দেখা দেয়। তখন চিকিৎসকরা ভাইকে আইসিইউতে নিয়ে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখেন। তবে এখন তিনি শঙ্কা মুক্ত।
চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই আরো বলেন, অবস্থা আরো একটু স্বাভাবিক হলে রাতেই লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হবে। বর্তমানে তাকে ঘুমের ঔষধ দেয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এটিএম শামসুজ্জামান। মল-মূত্র বন্ধ হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ওইদিন রাত এগারোটার দিকে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে। শনিবার দুপুরে প্রায় তিন ঘন্টার অপারেশন শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এটিএম শামসুজ্জামানকে।
ষাটের দশকের শুরুতে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ ছবিতে। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করলেও খল অভিনেতা হিসেবেই জনপ্রিয়তা পান এটিএম।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও মাঝেমধ্যেই শখের বশে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ‘আলফা’। ২৬ এপ্রিল ছবিটি দেশের চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।