যশোরের শার্শা উপজেলায় বাণিজ্যিকভিত্তিতে ভেড়া পালন শুরু হয়েছে। খামারিদের ভেড়া পালনের ওপর প্রশিক্ষণও দিচ্ছে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস।
আগে জেলায় শখের বশে ভেড়া পালন হলেও এখন আর তা শখ নয়, বাণিজ্যিক ভিত্তিতেই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শুরু করেছেন ভেড়া পালন।
খামারিরা বলছেন, ভেড়ায় রোগবালাই কম। একসাথে তিন-চারটি বাচ্চা দেয়। পাশাপাশি ভেড়া ঘাসের পাশাপাশি গৃহস্থালি যেকোন খাবার খায়। এ জন্য ভেড়া পালন অনেক বেশি লাভজনক।
একজন খামারি জানান, ভেড়াকে ভুসি, কালাই ও ঘাসসহ বিভিন্ন রকমের খাবার খাওয়াই। দিনে অন্তত দুইবার খাবার দিতে হয়।
বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলায় ৭২টি ছোট বড় খামারে ভেড়া পালন চলছে। প্রতি কেজি ভেড়ার লোম পাঁচশ’ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করেন খামারিরা।
গত বছর তিনেকের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ টাকার ভেড়ার লোম বিক্রি করেছেন বলে জানা আরেকজন খামারি।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস এ পর্যন্ত ২০ জন খামারিকে ভেড়া পালনের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছে। শার্শা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, খামারিদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা গেলে দেশের আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অনেক মানুষের বেকার সমস্যার সমাধান হবে।
ভেড়া পালন করে সফল হওয়ায় তিনজন খামারিকে পুরস্কৃত করেছে জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস।