বিসিবি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের দায়িত্ব পেয়েছিলেন গত বছর। কিন্তু ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’র অজুহাত দেখিয়ে আসেননি সেবার। হেড কোচ ছাড়াই শেষ হয় ক্যাম্প। এবার সায়মন হেলমট আসলেন চুক্তি বাড়িয়ে। তিন বছর এইচপি ক্যাম্প পরিচালনা করবেন এই অস্ট্রেলিয়ান। এসে জানালেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য শক্তিশালী ব্যাকআপ গঠন করতে চান তিনি।
প্রতিশ্রুতিশীল ২৪ জন ক্রিকেটার নিয়ে ৬ সপ্তাহের এইচপি প্রোগ্রাম শুরু হবে মঙ্গলবার। সোমবার মিরপুরে এসেই কোচ ঘুরে দেখলেন ইনডোর, জিম, একাডেমি মাঠ। প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটি দেখেই খুশিই তিনি। জানালেন জাতীয় দলের জন্য পাইপলাইনে ক্রিকেটার যোগান দেওয়াই লক্ষ্য তার।
‘বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলছে। এটা দারুণ একটা মোমেন্টাম। এই দলটির জন্য পাইপলাইনে ভাল ক্রিকেটার থাকা অপরিহার্য। আমি সে চেষ্টাই করবো। শক্তিশালী ব্যাকআপ প্লেয়ার তৈরি করবো আগামী ১০-২০ বছরের জন্য।’
ক্যাম্পে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে গঠন করা হবে ১৬ সদস্যের ইমার্জিং স্কোয়াড। হেলমট জানান, জুলাইয়ে ইমার্জিং দল অস্ট্রেলিয়া সফর করবে। সেখানে প্রাদেশিক একটি দলের সঙ্গে খেলবে চারটি ওয়ানডে, দুটি দুই দিনের ও একটি তিন দিনের ম্যাচ। আর সেপ্টেম্বরে হতে পারে ইংল্যান্ড সফর।
তিনি বলেন, ‘শুধু দেশের ভেতর, উপমহাদেশের ভেতর খেললেই চলবে না। ভালো খেলতে হলে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলতে হবে। তাহলেই উন্নতি সম্ভব।’
শুধু এইচপি স্কোয়াড নয়; অনূর্ধ্ব-১৯ দল, একাডেমি দল ও বয়সভিত্তিক দল নিয়েও কাজ করবেন হেলমট। লক্ষ্য একটাই, পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা।
প্রিমিয়ার লিগে ভালো করে হাই-পারফরম্যান্স ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন লিটন দাস, আবু হায়দার রনি, ইমতিয়াজ হোসেন তান্না, তানবীর হায়দার, আবু জায়েদ রাহি। জাতীয় দলের বাইরে ছিটকে যাওয়া এনামুল হক বিজয়, আল আমিন হোসেন, আবুল হাসান রাজু, জুবায়ের হোসেন লিখনও আছেন এই ক্যাম্পে।
উদীয়মান ক্রিকেটার বিবেচনায় ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছেন ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো আজমীর আহমেদ। এছাড়া ইয়াসির আলি চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাজমুল হাসান শান্তর মতো তরুণরাও আছেন।