নড়বড়ে এভিন লুইসকে ফেরানো গেছে, ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা গেইলকেও। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই এদির যেন পণ করে নেমেছেন হারার আগে হারবেন না! একই মন্ত্র নিজেদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বাংলাদেশের বোলাররাও। তাতে লড়াই উঠেছে জমে।
সেন্ট কিটসে ৩০২ রানের লক্ষ্যে দুই উইকেটে দেড়শ পেরিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গেইল ৬৬ বলে ৭৩ করে ফিরেছেন রুবেলের বলে ক্যাচ দিয়ে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হেটমায়ার ও শাই হোপ লড়াই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তাদের ৬৭ রানের জুটি ভেঙে ৩০ করা হেটমায়ারকে বোল্ড করে মিরাজ বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন।
আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও ব্রেক থ্রু এনে দেন মাশরাফী। প্রথম দুম্যাচে যেখানে তিরিশের কোটাই পেরোয়নি উইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সেখানে পেরিয়ে গেল ফিফটি। সেখানেই ত্রাতা টাইগার অধিনায়ক। সিরিজে তৃতীয়বারের মতো আউট করেছেন লুইসকে।
তখন ক্রমেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার হুঙ্কার ছুড়ছিলেন ক্রিস গেইল, সঙ্গী লুইস থাকলেন মন্থর। তারপরও ১০.১ ওভারে ৫৩ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা। এরপরই দৃশ্যপটে মাশরাফী। অফস্টাম্পের বাইরে করা তার অফ-কাটারটি লাফিয়ে ওঠে হঠাতই, লুইসের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকের গ্লাভসে। ৫৩ রানের জুটি ভাঙে। বাঁহাতি ওপেনার ৩৩ বলে করে যান ১৩ রান।
গেইল পরেও চালিয়ে যান। ফিফটি তুলে নেয়ার পথে হোপকে নিয়ে ৫২ রানের আরেকটি জুটি গড়েছেন। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই বাঁহাতি লংঅন দিয়ে রুবেলকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে মিরাজের হাতে ধরা পড়েছেন। থামে ছয় চার পাঁচ ছক্কায় ৬৬ বলে ৭৩ রানের ইনিংস। পঞ্চম ছক্কাটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গেইলের ৪৭৬তম। তাতে স্পর্শ করেছেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদির সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড।
সেন্ট কিটসে আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ৩০১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তামিমের শতক ও মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ফিফটিতে।
যাতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথমবার তিনশ ছুঁয়েছে টাইগাররা। উইন্ডিজের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চটি ছিল ২৯২ রান, ২০১২ সালে খুলনায়। আর স্বাগতিকদের মাটিতে আগের সর্বোচ্চ ছিল এই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে করা ২৭৯ রান।