তামিম ইকবালের মোহামেডানের বিপক্ষে আশরাফুলের কলাবাগান লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে। এদিন বৃথা যায়নি তামিমের ক্যারিয়ার সেরা ১৫৭ রানের ইনিংসটি। তার অমন ইনিংসে ভর করেই কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ২৪ রানে হারিয়ে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম জয় পেয়েছে সাদা-কালোরা।
কলাবাগানের সর্বোচ্চ স্কোরার হ্যামিল্টন মাসাদাকজা ৬৮ রান করে ৪৩তম ওভারে রান আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে আশরাফুলরা। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাসাদাকদজা যখন রান আউট হন, তখন তাদের রান ২২৮। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি তারা। হারের ব্যবধান কমান মুক্তার আলী। ৩২ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান এ ব্যাটসম্যান।
কলাবাগান অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল এদিন রান পেয়েছেন। ৪৯ বলে ৮টি চারের সাহায্যে করেছেন ৪৬ রান। দলের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এ ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে তুষার ইমরান ও মাসাকাদজা গড়েন ৯২ রানের জুটি।
৬৪ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে তুষার সাজঘরে ফেরেন। টেলএন্ডাররা সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারায় জয়ের কাছে গিয়ে হারে কলাবাগান।
এ ম্যাচে মোহামেডানের সফল বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি। এ ডানহাতি পেসার নিয়েছেন তিনটি উইকেট। দুটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। শুভাশিস রায়, সাজেদুল ইসলাম ও রহমত শাহ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান করে মোহামেডান। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১০৩ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কার সাহায্যে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। সেঞ্চুরির পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তামিম। বিকেএসপিতে তার ব্যাটে যেন নেমে আসে বৈশাখী ঝড়! একের পর এক চার-ছক্কায় নিজের আগের সর্বোচ্চ ১৫৪ রানের ইনিংসটি ছাড়িয়ে যান তিনি। সেঞ্চুরির পরের ৫৪ রান করতে ২২ বল খরচ করেন তামিম।
শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলে ১৫৭ রান করে থামেন মোহামেডানের ওপেনার।
তামিমের ইনিংসের ওপর ভর করেই বড় সংগ্রহ পায় মোহামেডান। ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে আরেক ওপেনার শামসুর রহমান শুভ’র ব্যাটে।
কলাবাগানের অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা একাই নেন চার উইকেট। শুরুর উইকেটগুলো নিয়ে মোহামেডানের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন এই তরুণ। মুক্তার আলী ও নাবিল সামাদ নেন দুটি করে উইকেট।