নতুন বছরে রোমান সানাকে ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী। আর্চারির পাশাপাশি সংস্থাটিতে সৈনিক পদে চাকরি করছিলেন কৃতি এ ক্রীড়াবিদ।
গত বছর সোনায় মোড়ানো সময় পার করেছেন আর্চার রোমান। বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছেন ব্রোঞ্জ, সরাসরি সুযোগ করে নিয়েছেন ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে। এশিয়ান আর্চারিতে জিতেছেন তিন স্বর্ণপদক। সাফল্যের পাল্লা ভারি হচ্ছে দিনকে দিন। সাফল্য মিলল কর্মজীবনেও।
মঙ্গলবার খিলগাঁওয়ের আনসার ও ভিডিপির সদর দপ্তরে রোমানকে ল্যান্স নায়েকের ব্যাজ পরিয়ে দেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ। এসময় আনসার ডিজি বলেন, ‘ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা প্রতি বছরেই ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের স্বীকৃতি দিয়ে থাকি।’
‘এসএ গেমসে সাফল্য অর্জন করায় তাকে আমরা সংবর্ধনা দিলাম। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশকে সম্মানিত করায় আর্চার রোমান সানাকে আমরা ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি দিয়েছি। সামনেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। গেমসে আনসার ফের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে আশা করি। যারা পদক জিতবে তাদের জন্যও সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।’
নেপালে অনুষ্ঠিত গত এসএ গেমসে আনসার ও ভিডিপির ১৪৪ জন ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন। যার মধ্যে একক ও দলগততে ৮টি স্বর্ণ, ১৩টি রুপা ও ৪৭টি ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন তারা। পদকজয়ী ক্রীড়াবিদরা পেয়েছেন মোট ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি। একক ইভেন্টের সোনাজয়ীদের এক লাখ, রুপা জয়ীদের ৭৫ হাজার এবং ব্রোঞ্জপদক জয়ীদের ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা পেয়েছেন রোমান সানা।
প্রাইজমানি পেয়ে আনন্দিত রোমান সানা বলেছেন এই অর্থে মায়ের চিকিৎসা করাতে চান তিনি, ‘আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই প্রাইজমানি অনেক প্রেরণার। এখন থেকে আমি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পেয়ে ভালো বেতন পাবো। এই দিয়ে আমার মাকে আরও ভালো চিকিৎসা করাতে পারবো এবং সংসারে দিতে পারবো।’