১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নামা নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি স্বচ্ছন্দেই এগোচ্ছিল। টাইগারদের হয়ে সেটি বিচ্ছিন্ন করার কাজটি করেছেন তাসকিন আহমেদ, তুলে নিয়েছেন টম ল্যাথামের উইকেট।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কিউইদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৪ রান। বাংলাদেশের চেয়ে তারা ৭৬ রানে পিছিয়ে এখনও। উইল ইয়াং ২৭ ও ডেভন কনওয়ে ১০ রানে ক্রিজে আছেন।
দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুলকে দেখেশুনে খেলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ল্যাথাম-ইয়াং। উইকেটে জমে যাওয়ার আভাসও দিচ্ছিলেন। তাসকিনের অফস্টাম্পের খানিক বাইরে করা বাউন্সার রক্ষণাত্মক খেলতে যেয়ে থামতে হয়েছে। ২ চারে ১৪ রান করেছেন অধিনায়ক ল্যাথাম। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে।
সকালে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথমঘণ্টা ভালোভাবেই পার করে দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইয়াসির আলী রাব্বি। জুটিতে একশ রানের লিডও পার করে ফেলেন তারা। পানি পানের বিরতির পরের ৪০ মিনিটে সব শেষ, বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৫৮ রানে প্রথম ইনিংসে থামে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার খানিক আতঙ্ক নিয়ে শুরু হয় সকাল। মিরাজের জোড়া রিভিউতে বিপদ কাটে। দিনের তৃতীয় ওভারে রাচিন রাভিন্দ্রের করা তৃতীয় বলে সুইপ খেলতে গিয়েছিলেন মিরাজ। বল প্যাডে আঘাত হানে। লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন টাইগার ব্যাটার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল প্যাডে লাগার আগে তার গ্লাভসে চুমু দিয়ে গেছে।
পরের ওভারে ওয়াগনারের করা তৃতীয় বলেও মিরাজের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন ওঠে। আম্পায়ার যথারীতি আঙুল তুলে নেন। আবারো রিভিউ নেন টাইগার ব্যাটার। এদফা বল তার ব্যাটে লেগেছিল।
মিরাজ-রাব্বির ৭৫ রানের জুটি দলকে অনেকটা চালকের আসনে বসিয়েছে। দারুণ খেলতে থাকা মিরাজ ফিফটির কাছে চলে যান। সাউদির অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে থামতে হয়। ৮৮ বলে ৮ চারে ৪৭ রান করে ব্লান্ডেলের গ্লাভসে জমা পড়েন।
রাব্বিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জেমিসনের লেগ স্টাম্পের উপরে করা বলে ফ্লিক করতে গেলে ব্যাটের ছোঁয়া পায়। বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্লান্ডেল ক্যাচ নেন। ৮৫ বলে এক চারে ২৬ রানের ইনিংস থামে।
পরে ৫ রান করা তাসকিনকে বোল্ড করেন সাউদি। শেষ ব্যাটার হিসেবে শরিফুল ইসলাম বোল্ড হওয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি, তার স্টাম্প এলোমেলো করে দেন বোল্ট।
৮৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিল ওয়াগনার নেন ৩ উইকেট। টিম সাউদি ২টি ও কাইল জেমিসন একটি উইকেট পান।