যশোরের ধানের চাতাল মালিক ও শ্রমিকরা কঠিন সময় পার করছেন। একদিকে পরিবহন সমস্যা অন্যদিকে ভারত থেকে চাল আমদানি হওয়ায় দেশে মোটা চালের চাহিদা কমে যাচ্ছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাতাল মালিক ও শ্রমিকদের।
যশোরের আট উপজেলায় রয়েছে শতাধিক ধানের চাতাল। এরমধ্যে বাঘারপাড়ার খাজুরা বাজারেই রয়েছে ৩০টি। এসব চাতালে কাজ করেন শত শত শ্রমিক। প্রতিটি ধানের চাতালে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মন চাল তৈরি করা হয়।
তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে সংকটে পড়েছে চাতাল মালিক ও ব্যাপারীরা।
তারা বলছেন, অবরোধ ও হরতালের কারণে বাজারে চাল আমদানি না করায় গুদামেই রয়ে গেছে চাল। মালিকের পাশাপাশি শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
চাতালের মেশিন ম্যানরা বলেন, আগে যেখানে মেশিনে ২০০ থেকে ২৫০ মন চাল তৈরি হতো সেখানে বর্তমানে সপ্তাহে হচ্ছে ১০০ মন হচ্ছে। আর এতে করে বসেই সময় কাটাচ্ছেন মেশিনম্যানরা। কাজ না থাকায় বেকার হয়েছেন অনেক চাতাল শ্রমিক।
যশোর সত্ত্বাধিকারী আবুল হোসেন রাইস মিল বলেন, ধানের দাম কমার ফলে চাল বিক্রি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ধানের দাম বাড়লে আবারো চাতালদের কাজ স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।