ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে। একই কাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকার পরও বিসিবিতে বোর্ড পরিচালকের পদে বহাল আছেন মোহামেডান ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া।
মাদক মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন লোকমান হোসেন। ক্যাসিনো চালাতে মোহামেডান ক্লাবের জায়গা ভাড়া দেয়ার অভিযোগ আছে বিসিবির এ পরিচালকের বিরুদ্ধে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আগেই জানিয়েছেন, ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে বিচার হবে। সেটি যে বিসিবি থেকে বহিষ্কার সেটি না বললেও চলছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যুবলীগ কার্যনির্বাহী সভায় তাদের সভাপতি, সহ-সভাপতিকে বহিষ্কার করতে পারলে বিসিবি কেন পারছে না একজন পরিচালকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে? এমন প্রশ্নে কিছুটা বিব্রত হলেন বোর্ডের পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। জানালেন, এ ব্যাপারে আলোচনা হবে বোর্ডের কার্যনির্বাহী সভায়।
‘এই বিষয়ে (লোকমান হোসেন) মাননীয় সভাপতি কিছুদিন আগেই আপনাদের স্পষ্ট করে দিয়েছেন। যদি উনি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে বোর্ড থেকেও ঐ(বহিষ্কার) ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা অপেক্ষা করছি। আর সিদ্ধান্ত নিতে হলে এটা বোর্ডে আলোচনা করতে হবে। পরবর্তী বোর্ড সভাতে আমরা এটা নিয়ে আলাপ করতে পারি।’
বিসিবির নজির আছে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই কাউকে শাস্তি দেয়ার। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানোর খবর প্রচারের পর প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই সবধরণের ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন মোহাম্মাদ আশরাফুল। তখন আইসিসির তদন্তে সময় না দিয়েই তাৎক্ষণিকভাবে এই ক্রিকেটারকে বহিষ্কার করে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের তৎকালীন কমিটি।