রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ম্যাচগুলো হবে ১২টি স্টেডিয়ামে। চ্যানেল আই অনলাইনের পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হবে স্টেডিয়ামগুলোর পরিচিতি। শুরুতেই থাকছে লুঝনিকি স্টেডিয়াম, মস্কোর কথা-
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্টেডিয়াম লুঝনিকি। পাশ ঘেঁষে চলে গেছে মস্কোভা নদী। ১৯৫২ সালে হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭১টি স্বর্ণ জেতার পর খেলাধুলা নিয়ে নড়েচড়ে বসে সরকার। ফলশ্রুতিতে ১৯৫৫ সালে শুরু করে মাত্র ৪৫০ দিনে তৈরি করা হয় এ স্টেডিয়ামটি।
লুঝনিকি স্টেডিয়ামেই বসেছে ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিক। হয়েছে ১৯৯৯ ও ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল।
শুরুতে ১ লাখ ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য নতুন করে সংস্কার করার সময় ধারণ ক্ষমতা কমে এসেছে ৮১ হাজারে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অ্যাথলেটিক ট্র্যাক। স্ট্যান্ড ভাগ করা হয়েছে দুভাগে।
এই স্টেডিয়ামকে ঘিরে আছে বেদানাবিধুর কাহিনীও। ১৯৮২ সালের উয়েফা কাপের ম্যাচ চলাকালীন সময়ে পদদলিত হয়ে মারা যান ৬৬ জন দর্শক।
লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বসবে ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল। তাতে একটি বিরল কীর্তি গড়া হবে স্টেডিয়ামটির। বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ও গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজনের গৌরব অর্জনকারী বিশ্বের পঞ্চম স্টেডিয়াম হবে লুঝনিকি।
লুঝনিকিতে স্বাগতিক রাশিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে বিশ্বকাপের। শেষ ষোলোর একটি ম্যাচও হবে।
এক নজরে-
লুঝনিকি স্টেডিয়াম, মস্কো
ধারণ ক্ষমতা: ৮১ হাজার
উদ্বোধন: ১৯৫৬ সালে
বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে: সাতটি
উল্লেখযোগ্য ম্যাচ: উদ্বোধনী ম্যাচ, একটি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল।