বিপিএলের চলতি আসর প্রথম সেঞ্চুরি দেখেছিল ২৩তম ম্যাচে। পথ দেখিয়েছিলেন লরি ইভান্স। ইংলিশ ব্যাটসম্যানের দেখানো পথে শেষ ৯ ম্যাচেই তিনটি সেঞ্চুরির দেখা মিলল। সোমবার আসরের চতুর্থ আর নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এভিন লুইস। ক্যারিবীয় তারকার ব্যাটে ভর করে আসরের ও বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩৭ রানের সংগ্রহ গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
এই নিয়ে চলতি আসরে তৃতীয়বারের মতো দুই শতাধিক রানের স্কোর দেখল বিপিএল। এর আগে অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশোর সেঞ্চুরিতে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৩৯ রান তুলেছিল রংপুর রাইডার্স। এই খুলনার বিপক্ষেই ২১৪ রানও করেছিল ভাইকিংসরা।
শেষ চারে ওঠার সুযোগ আগেই হাতছাড়া হয়েছে খুলনা টাইটানসের। এই ম্যাচ তাদের জন্য শুধুই নিয়মরক্ষার। তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের জন্য ঠিক উল্টো। শেষ চারে থাকলেও জায়গা ধরে রাখতে জয় চাই তাদের। কারণ শীর্ষ চারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আছে ছয় দল। সেই লড়াইয়ের ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৩৭ রানের পুঁজি গড়েছে কুমিল্লা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার। জুটিতে ৫৮ রান তুলে প্রথমে আউট হন তামিম ইকবাল। ২৫ রান করলেও বেশ ধীরগতিতেই ব্যাট করেন টাইগার ওপেনার। তিনটি চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করতে বল খেলেন ২৯টি।
স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ হওয়া আগেই ফেরেন এনামুল হক বিজয়। তামিমকে ফেরানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলেই আউট হন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে খাতা খুলতে পারেননি বিজয়।
রানে ফিরেছেন কুমিল্লা ওপেনার এভিন লুইস। রান খরায় থাকার কারণে শেষ কয়েক ম্যাচে একাদশেই ছিলেন না। তবে রানে ফিরেই বড় ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় তারকা।
৯৭ রানের জুটি গড়ে লুইসকে দারুণ সঙ্গ দেন ইমরুল কায়েস। ২১ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। শফিউল ইসলামের বলে ফেরার আগে ১৮৫’র বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়ে চারটি চার ও দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকান জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ইমরুল।
নেমে ঝড় তুলেছিলেন থিসারা পেরেরাও। কিন্তু চার বল খেলে সমান এক চার ও ছক্কায় ১১ রান করার পর ব্র্যাথওয়েটের শিকার হন লঙ্কান তারকা। ব্যাট হাসেনি শহিদ আফ্রিদিরও। এক রানের বেশি করতে পারেননি পাকিস্তানি তারকা।
তবে নিজের মতো করেই ব্যাট চালিয়েছেন লুইস। ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৪৭ বলে। অর্থাৎ, দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ১৬ বলে। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ১০টি ছক্কার সঙ্গে পাঁচটি চারের মারে সাজানো তার ইনিংস। ১৫ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন শামসুর রহমান।