চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

লিসবনের ইফতারে পর্তুগিজ রাজনীতিবিদদের অংশগ্রহণ

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে কেন্দ্রীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইফতারিতে যোগ দিয়েছেন সাও ভিসেন্ত ও সান্তা মারিয়া মাইওর কাউন্সিলের নির্বাচিত দুই সদস্য আন্দ্রে ও লোরেন্সো। তারা দুজনেই লিসবনের প্রভাবশালী যুব রাজনীতিবিদ।

মসজিদ কমিটির সভাপতি, লিসবনের প্রবীন কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব ও প্রাক্তন সিটি কাউন্সিলর রানা তাসলিম উদ্দীন এর আমন্ত্রণে তারা এই ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। সেখানে মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্য ছাড়াও লিসবনে বসবাসরত বাংলাদেশী, বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা ও অন্যান্য মুসলিম দেশের চার শতাধিক রোজাদার এ ইফতার মাহফিলে যোগ দেন।

মুসলিম কমিউনিটির রোযা ও ইফতার সম্পর্কে তাদের ধারণা দেয়ার জন্যই মূলত ইফতারিতে দাওয়াত দেয়া হয়। আমন্ত্রিত অতিথিরা রোজাদারদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে হাত দিয়েই ইফতার করেন। এটা ছিল ওনাদের জন্য এক অন্য রকম অনুভুতি।

এ ব্যাপারে রানা তাসলিম উদ্দীন বলেন, এনারাই হয়তো একদিন এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হবেন। আমাদের ধর্ম, ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাদের ধারণা থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে কাজ করতে তাদের অনেক সুবিধা হবে। আমাদের ইসলামিক সংস্কৃতির প্রতি তাদের শ্রদ্ধা থাকবে। একই সাথে বাংলাদেশী কমিউনিটিও উপকৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি ২৩ বছর বয়সে এদেশে এসেছিলাম। বর্তমানে আমাদের কমিউনিটির প্রায় ৯০% মানুষই যুবশ্রেণী। ব্যবসা ও চাকুরিতে এরা দুর্দান্ত এক তারুণ্য। একদিন এই যুবকরাই কমিউনিটির হাল ধরবে।

তবাঞ্জুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের সর্বক্ষেত্রে এই দেশের মূলধারা ও মানুষের সাথে সম্পৃক্ত হোন। এতে করে আপনি ও আপনার পরিবার তথা আমাদের সমাজ উপকৃত হবে। আগামী প্রজন্ম আপনাদের রেখে যাওয়া পথে চলতে পারবে। পর্তুগালে আপনারা তৈরি করতে পারবেন নতুন এক মাইল ফলক। যা আগামী প্রজন্মের জন্য বয়ে আনবে সফলতা।‘

লিসবনের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী, মসজিদ কমিটির সিনিয়র কর্মকর্তা ও কমিনিটি ব্যাক্তিত্ব শাহীন সাঈদ বলেন, বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যেই অপপ্রচার সেটা দূর করতে আমাদের উচিৎ অন্য ধর্মের মানুষদেরকে আমাদের সুন্দর ইসলামিক কালচার দেখার এবং বুঝার সুযোগ করে দেয়া। ইসলাম উদারতার ধর্ম এবং এর সৌন্দর্য ব্যাপক। আমাদের উচিত সের সৌন্দর্যকে ছড়িয়ে দেয়া।

ইফতারীর আগে অতিথিরা রোজাদারদের সাথে মোনাজাতেও অংশ নেন। ইফতারী শেষে তারা মাগরিবের নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এব পরে বাংলাদেশী মি খাদ্য উপভোগ করেন।