টপঅর্ডার রানে ফেরার স্বস্তি নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে সকালটায় খানিক ব্যাকফুটে মুমিনুল হকের দল।
কিউইদের প্রথম ইনিংসে করা ৩২৮ রানের জবাবে সোমবার লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২০ রান। স্বাগতিকদের চেয়ে এখনো ১০৮ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
মুমিনুল হক ১৭ ও লিটন দাস ১২ রানে অপরাজিত। নিউজিল্যান্ডের নিল ওয়াগনার ৪৩ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট পকেটে পুরেছেন ট্রেন্ট বোল্ট।
আগেরদিন ৭০ রানে অপরাজিত থাকা জয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও সেটির অপমৃত্যু ঘটিয়েছেন নিজেই। ওয়াগনারের অফস্টাম্পের বাইরের নির্বিষ এক বল তাড়া করতে গিয়ে গালিতে নিকোলসের হাতে ধরা পড়েন। ২২৮ বলে ৭ চারে ৭৮ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস তার।
খানিক পরে বেঁচে যান মুমিনুল। জেমিসনের বলে আগেভাগে ফ্লিক করে বসেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল ফেরত যায় বোলারের হাতে। জেমিসন ঝাঁপিয়ে পড়েও হাতে জমাতে পারেননি।
পরে ওয়াগনারের বলে আউট হয়েও নো বলের সুবাদে টিকে যান মুমিনুল। কিউই পেসারের করা ব্যাক অব লেন্থের কোনাকুনি বলে মুমিনুল ব্যাট সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। বল ব্যাটে আলতো ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দি হয়। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। টিভি রিপ্লেতে ওয়াগনারের বুট পরিস্থিতি আনে নো বলের সংকেত। ৯ রানে মুমিনুল জীবন পান।
বেশ ধৈর্য নিয়ে খেলছিলেন মুশফিক। রান করার চেয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকাতে দেন মন। নতুন বলে পেসারদের চ্যালেঞ্জটা শেষপর্যন্ত সামলাতে পারেননি। বোল্টের রাউন্ড দ্য উইকেটে ফুল লেন্থের সুইং বল স্কয়ারলেগে খেলতে গিয়েছিলেন। ভুল লাইনে ব্যাট চালিয়ে দেন। ছিল না পায়ের নড়াচড়াও। উপড়ে যায় অফস্টাম্প। ৫৩ বলে এক চারে মি. ডিপেন্ডেবলের ইনিংস থামে ১২ রানে।