ক্লাবগুলোর স্বার্থ রক্ষা না করার অভিযোগ এনে বর্তমান লিগ কমিটির অধীনে কোনো টুর্নামেন্টে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। শেখ জামালের সঙ্গে ‘একাত্মতা’ দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগের অন্য চারদলও দল বদলের সময় পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে আবারো নতুন মোড়। এবার পেশাদার লিগ কমিটির অধীনেই প্রিমিয়ার লিগ বর্জনসহ এ মৌসুমে দল বদলে অংশ নেবে না প্রিমিয়ার লিগের দল শেখ জামাল ধানমন্ডি, মোহামেডান, আবাহনী, শেখ রাসেল, বিজেএমসি ও ব্রার্দাস ইউনিয়নের মত শীর্ষ স্থানীয় ক্লাবগুলো।
এছাড়াও ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মাঠে খেলা না থাকায় বর্তমান পেশাদার লিগ কমিটিকে ব্যর্থ বলেছেন মহানগর ফুটবল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদের।
তিনি বলেছেন, সব ক্লাবই চায় সুন্দরভাবে, নিরপক্ষভাবে ও সুশৃঙ্খলভাবে খেলা পরিচালনা হোক। কিন্তু যে লিগ কমিটি আছে; সেই কমিটির অধীনে আমরা অংশ নিব না। কারণ এই কমিটি কখনোই কোনো অঙ্গীকার, ক্যালেন্ডার ইয়ারের খেলা কোনো কিছুই সঠিক মতো করতে পারে নাই। এমনকি আমাদের ঠিক ভাবে টাকা পয়সাও দিচ্ছে না, ক্লাবগুলোরতো টাকা পয়সা দরকার।
মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা দলবদলটা এই মুহূর্তে চাই নাই, উনার হুট করে দলবদল দিয়ে দিয়েছে, দলবদল ঘোষণা করার আগেও আমরা বলেছি দলবদলটা যেন এখন ঘোষণা না করা হয়।
গত ২১ নভেম্বর শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক সালেহ জামান সেলিমের অধীনে বাফুফেতে রাজনৈতিক মিছিল ও বিক্ষেভের হওয়ায় তা অনাকাঙ্খিত বলে মন্তব্য করেন ওই ক্লাবেরই ডিরেক্টর।
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ডিরেক্টর গোলাম রাব্বানি হেলাল বলেন, আমি আশা করি উনারা এ ধরণের কার্যকলাপ থেকে সরে আসবেন, যদি উনারা বাংলাদেশ ফুটবলের ভালো চান, উন্নতি চান তাহলে অবশ্যয় উনারা সরে আসবেন। সবাই মিলে কাজ করার জন্য উনারা প্রস্তাব করবেন এবং ক্লাবের সঙ্গে মিলেই উনাদের চলতে হবে, ক্লাব ছাড়া ফেডারেশনের কোন মূল্য নেই।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে এফসি ও ফিফার কাছ থেকে পাওয়া অর্থ ফুটবলের উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে না বলে উঠে আসে ফুটবল সংগঠকদের জরুরি সভায় । বাফুফে ফুটবল একাডেমির কাজও ঠিক মতো পারিচালনা না হওয়ায় সমালোচনা হয় দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটির।