চট্টগ্রাম থেকে: নাথান লায়নের ঘূর্ণি জাদুর শেষ ঘটনাটা ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে টাটকাই থাকার কথা। মাস কয়েক আগে বেঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছিলেন ভারতকে। উপমহাদেশের কন্ডিশনে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ক্ষমতা আছে এই অজি অফস্পিনারের। তাকে কীভাবে সামলাবেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা? সেই প্রস্তুতিও চলছে জোরেশোরেই। তামিম-সৌম্যদের অভ্যস্ত করতে চট্টগ্রামে অনুশীলন ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে প্রাথমিক দলের বাইরে থাকা তিন অফস্পিনারকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতির জন্য জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে টাইগারদের ক্যাম্প। প্রথমদিনে ছিল কঠোর অনুশীলন পর্ব। অফস্পিনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, নাজমুল হাসান শান্ত, নাঈম হাসান, সঞ্জিত সাহারা হাত ঘুরিয়েছেন। নেট বোলার হিসেবে ডাকা নাঈম, সঞ্জিতরা সবাই অফস্পিনার।
বাংলাদেশ দলের মূল অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। সবশেষ হোম সিরিজে ইংলিশ-বধের নায়ক গেছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে। ফিরবেন ১৩ আগস্ট। আরেক অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত চোখে আঘাত পাওয়ায় যোগ দিতে পারেননি চট্টগ্রাম পর্বের অনুশীলনে।
অতীতেও দলের ক্যাম্পে অফস্পিনার কোটায় জায়গা হয়েছিল সঞ্জিত ও নাঈমের। সঞ্জিত গত যুব বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। প্রিমিয়ার লিগেও উঠেছিল একই অভিযোগ।
সঞ্জিতের জুনিয়র নাঈম আগামী বছর নিউজিল্যান্ডে যুব বিশ্বকাপে অংশ নেবেন। দুজন প্রসঙ্গে জাতীয় দলের কোচ চণ্ডিকা হাথরুসিংহে বললেন, ‘ওরা দুজনই লম্বা, বলে ভালো বাউন্স রয়েছে। অফস্পিনারকে কীভাবে খেলতে হবে তার অনুশীলন হয়ে যাচ্ছে।’
মুখে না বললেও অফস্পিনে এত গুরুত্ব দেওয়ার কারণে যে লায়ন সেটি বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। অনুশীলনে চোখ রাখা প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আড্ডার ফাঁকে লায়নের বোলিংয়ের প্রশংসা না করেও পারলেন না।