অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে গাড়িতে আগুন লেগে ৩ শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এখনো নিশ্চিত না হলেও পুলিশের সন্দেহ, আগুনটি ইচ্ছা করে লাগানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গাড়ির আরেক যাত্রী এবং এক পথচারী দগ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।
বিবিসি জানায়, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে ব্রিসবেন শহরের পূর্বাঞ্চলীয় ক্যাম্প হিল এলাকায় যায় কুইন্সল্যান্ড পুলিশ। গিয়ে দেখতে পায়, পুরো গাড়িটিতেই আগুন জ্বলছে। গাড়ি থেকে বের হয়ে বাঁচার চেষ্টা করা এক নারীর গায়ের আগুন নিভিয়ে ফেলেন স্থানীয় লোকজনই।
মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
‘সে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য,’ বলেন কুইন্সল্যান্ড পুলিশের ডেপুটি ইনস্পেকটর মার্ক থম্পসন।
‘এত আগেই তদন্তের ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। কিন্তু পুলিশ পৌঁছাতে পৌঁছাতেই পুরো গাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছিল।
প্যারামেডিকরা জানিয়েছেন, একজন পথচারীকে আগুনে পোড়ার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন তারা। ওই পথচারী গাড়ির কাছে গিয়ে আরোহীদের সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন।’
কুইন্সল্যান্ড অ্যাম্বুলেন্সের এক মুখপাত্র জানান, পথচারী ওই ব্যক্তির চেহারার কিছু অংশও পুড়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডেপুটি ইনস্পেকটর থম্পসন জানান, গাড়িতে যারা ছিলেন তারা ঘটনাস্থলের কাছাকাছিই বসবাস করতেন। নিহত তিন শিশুর সবার বয়সই ১০ বছরের নিচে। নিহত আরেক ব্যক্তি তাদের পরিচিত বলে প্রাথমিকভাবে জানান তিনি।
অস্ট্রেলীয় স্থানীয় গণমাধ্যমকে এলাকাবাসী কয়েকজন জানান, আগুন লেগে যাওয়া গাড়ি থেকে তারা এক নারীকে লাফিয়ে বের হতে দেখেন। তার গায়ে আগুন জ্বলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকাকে বলেন, ওই নারী ‘সে আমার গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়েছে!’ বলে চিৎকার করছিলেন।
ওই নারীই বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আগুনটি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে ধারণা করলেও এ ব্যাপারে এখনই বিস্তারিতভাবে কোনো সন্দেহের কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনই হতাহতদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না।
অগ্নিকাণ্ডটি পারিবারিক সহিংসতার ফল কিনা, এ ব্যাপারেও এত আগে বলতে নারাজ তারা।