ঐতিহাসিক ৭ মার্চে আওয়ামী লীগের জনসভা শুরু হতে আর অল্প কিছু সময় বাকী রয়েছে। এরই মধ্যে পায়ে হেঁটে, বাসে, ট্রাকে, খণ্ড খণ্ড মিছিল করে আসতে শুরু করেছে নেতাকর্মীরা। দিনটি ঘিরে সকাল থেকেই রয়েছে দলটির নানা কর্মসূচি। যার স্রোত গিয়ে মিশবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
দুপুর ৩টায় জনসভা শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকালেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ময়দানকে প্রস্তুত করতে বিরামহীন কাজ করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা।সমাবেশের আগের দিন ময়দানে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষে বসানো হয় চেয়ার। সাজানো হয় প্যান্ডেল। নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে উদ্যানের চারপাশে।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ব্যানার-ফেস্টুন সাঁটানো হয়েছে। এতে ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এবারের সমাবেশে রেকর্ড ২৫ লাখ মানুষের জমায়েত ঘটানোর টার্গেট দলটির। ঢাকার পাশাপাশি আশেপাশের পাঁচ জেলা গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদী থেকেও নেতা-কর্মীদেরকে যোগ দিচ্ছে সমাবেশে।
এজন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ বাস ও ট্রেনের। এছাড়া, সারা দেশ থেকে সাধারণ মানুষ এ জনসভায় যোগ দেবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
বুধবার কর্মদিবস থাকলেও রাজধানীতে অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম। যেসব গাড়ি আসছে তার অধিকাংশই জনসভামুখী। গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় অফিসগামী মানুষ পড়ছে বিপাকে।
পল্টন, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, নিউমার্কেট, মৎসভবন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অফিসগামী মানুষদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।আবার কেউ কেউ হেঁটেই অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। আবার কোথাও যানজটও দেখা গেছে।
ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐহিত্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় গত অক্টোবরে। তাই এবার দিবসটিকে ভিন্ন মাত্র দিতে চাইছে দলটি।