কলকাতা থেকে এসেছেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনী অনিন্দিতা কাজী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। ঢাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন হাজারো ছাত্র-ছাত্রী। মাঠের দক্ষিণ পাশে বসানো হয়েছে মঞ্চ। মঞ্চে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো কবির নাতনী অনিন্দিতা কাজী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আবৃত্তিকার রেজাউল হোসাইন টিটো, নজরুল ইনিস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক ইকরাম আহমেদসহ অনেকে। রেজাউল হোসাইন টিটোর নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ সমবেত স্বরে আবৃত্তি করছে, ‘বিদ্রোহী রণক্লান্ত, আমি সেইদিন হবো শান্ত…।’
সোমবার ১ মে বিকেল চারটায় ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজন করা হয় ‘লাখো কণ্ঠে “বিদ্রোহী” কবিতা’ আবৃত্তি অনুষ্ঠানের। বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এই আবৃত্তির আয়োজন করে, নজরুল চর্চাকেন্দ্র ‘বাঁশরী’ ও ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর’ (বিএনসিসি)।
লাখো কণ্ঠে বিদ্রোহী কবিতা আয়োজনে অংশ নিতে এসে কবি নাতনী বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম মাত্র ২২ বছর বয়সে কবিতাটি লিখেছিলেন। তার ২২ বছরে লেখা ‘আপনাকে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ’ কথাটি তৎকালীন শাসকদের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছিল। বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল কোটি মানুষের প্রতিবাদের কবিতা।’
“আজ লাখো মানুষ এক সঙ্গে আবৃত্তি করছে নজরুলের কবিতা। আমি মনে করি এটা নজরুলের জন্য অনেক অনেক বড় অর্জন।’ হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জাতীয় কবি, সাম্যের কবি নজরুল তার বিদ্রোহী কবিতার মাধ্যমে শোষণের বিরুদ্ধে ডাক দিয়েছিলেন। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে প্রতিবাদের একটি ভাষা পেয়েছিল এই কবিতার মাধ্যমে।’’
আবৃত্তি সংগঠন স্বরশ্রুতির আটজন ট্রেইনার মাস ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদের বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি শেখান। দেশবিদেশ থেকে লাখো মানুষ এর সাথে গলা মেলায় বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।