অসুস্থ সংগীতশিল্পী, সুরকার ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দকে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। গতকাল সোমবার রাতে লাকী আখান্দের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে সেখানে যান তিনি।
লাকী আখান্দের ঘনিষ্ঠজন এরশাদুল হক টিংকু বলেন, ‘আসাদুজ্জামান নুর ভাই রাতের দিকে এসেছিলেন। এসময় তিনি লাকী আখান্দের পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান। নুর ভাইকে দেখে লাকী ভাই হাসছিলেন। তখন নুর ভাই লাকী ভাইয়ের সঙ্গে নিচু স্বরে কিছু কথা বলেন।’
টিংকু আরও বলেন, ‘ক্যানসার প্রথম ধরা পরার পর প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে এসেছিলেন। এজন্য লাকী ভাইয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ পৌছে দেওয়ার অনুরোধ করেন নুর ভাইকে। এ সময় নুর ভাই তার কাছে ওয়াদা করেন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ পৌছে দেবেন। এরপর ডাক্তারের কাছে তিনি লাকী ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।’
২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে লাকী আখান্দের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পরে। এরপর ব্যাংককে ছয় মাসের চিকিৎসা করিয়েছেন। সেখানে কেমোথেরাপি নেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। গত বছর জুন মাসে তার আবারো থেরাপি নেওয়ার জন্য ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে পরে আর তার সেখানে যাওয়া হয়নি। এরপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
লাকী আখান্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘আমায় ডেকো না’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘এই নীল মনিহার’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘মামনিয়া, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কী করে বললে তুমি’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’।