যা হওয়ার এতক্ষণে হয়ে গেছে। মান গেছে, সম্মান গেছে। ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। তারপর টেনিস খেলোয়াড় ম্যাক্সিম হামু বুঝতে পারলেন তার ভুল হয়েছে।
ফ্রেঞ্চ ওপেনের ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কজনক ঘটনা এটি। ম্যাচ শেষে লাইভে থাকা এক নারী সাংবাদিককে জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন ম্যাক্সিম হামু। ম্যালি থমাস নামের সেই সাংবাদিককে ঘাড়ে এবং কাঁধে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করায় কোর্ট থেকেই নিষিদ্ধ করা হয় তাকে।
সোমবার প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়েছেন হামু। খেলা শেষ হওয়ার পর ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন এই ফরাসী খেলোয়াড়। পাশে দাঁড়িয়ে নিউজ লাইভ করছিলেন ম্যালি থমাস। এমন সময় ম্যালির কাঁধে জোর করে চেপে ধরেন হামু। ম্যালি বাধা দেয়া সত্ত্বেও ঘাড়ে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন এই ২১ বছর বয়সী টেনিস খেলোয়াড়।
এমন কুৎসিত কাণ্ডে সরাসরি কোর্ট থেকেই নিষিদ্ধ করা হয় হামুকে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে পুরো ফ্রান্স জুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। আর এমন লজ্জাকর ঘটনায় বেশ বিব্রত ম্যালি, ‘খুব লজ্জাকর। যদি সরাসরি সম্প্রচারে না থাকতাম, তাহলে আমি ওর মুখে ঘুষি মারতাম।’
আর এমন গর্হিত ঘটনায় বেশ লজ্জিত হামু নিজেও। সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়ে প্রথম পর্বে বাদ পড়ার পর এমন কাণ্ড ঘটিয়ে দেশবাসী এবং ম্যালির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি, ‘আমি ম্যালির কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। তার লাইভের সময় আমার এমন কাণ্ড আসলেই লজ্জাকর। ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করছি। আমি একজন ভালো টেনিস খেলোয়াড় এবং সর্বোপরি ভালো মানুষ হতে চাই।’