আইসিইউতে লাইফ সাইফ সাপোর্টে আছেন কিংবদন্তি চিত্রপরিচালক আমজাদ হোসেন। আজ রোববার সকালে নিজ বাসভবনে তিনি ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত রাজধানীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মহিউদ্দিনের অধীনে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা চলছে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আমজাদ হোসেন লাইফ সাপোর্টে আছেন। সেখান থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তখন থেকে তিনি কথা বলছেন না। উনি ঘুমের মধ্যেই স্ট্রোক করে খাট থেকে পড়ে যান। এরপর তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
ডাঃ মহিউদ্দিন আরও বলেন, লাইফ সাপোর্টের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। তিনি মধ্য স্তরে আছেন। ওনার খাদ্যনালী ও শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা রয়েছে। তার স্ট্রোকটা বড় আকারের। কোন দিকে যায় বলা যাচ্ছে না। সেজন্য তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তিনি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নন। হয়তো এরপর ওনার মাথায় অস্ত্রপচার লাগতে পারে। ৭২ ঘন্টা না গেলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
হাসপাতালে উপস্থিত আছেন আমজাদ হোসেনের সন্তান চিত্রপরিচালক ও অভিনেতা সোহেল আরমান। সোহেল আরমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমার বাবা দেশের জন্য তার মেধা দিয়ে অনেক কিছু করেছেন। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। যেন বাবা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
পরিবার ও চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, মাস ছয়েক আগে থাইল্যান্ডের সুকুমভিত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আমজাদ হোসেন। সেখানে তার ক্ষুদ্রান্ত্রে দু’টি সফল অস্ত্রপচার হয়েছিল। আমজাদ হোসেনের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন চলচ্চিত্র পরিচালক শাহীন সুমন, রকিবুল আলম রকিব, শাহ আলম কিরণ প্রমুখ।
আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় জনপ্রিয় পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি।
বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।