একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচার ঠেকাতে ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। এ বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, লবিংয়ের জন্য মাসে ৪০ হাজার ডলার খরচ করছে দলটি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যে হামলা হতে পারে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি কোনো দূতাবাসই।
মাত্র ক’দিনের ব্যবধানে দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশে-বিদেশে চলছে নানা গুঞ্জন। ওই ঘটনার পর বেশ ক’টি দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমনে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়। বাংলাদেশে থাকা বিদেশি কূটনীতিকদের কেউ কেউ হামলা হতে পারে এমন তথ্য বাংলাদেশকে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। যদিও বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে বাংলাদেশ।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের একিন গাম্প নামের একটি লবিস্ট ফার্মকে ১ লাখ ২০ হাজার ডলার দিয়েছিলো বলে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। ২০১৫ সালের শুরুতে দলটি বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এবং ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে তৎপরতা চালাতে তাদের নিয়োগ করে তথ্য-প্রমাণ আছে।
তিনি বলেন, সংসদে না থেকেও বিএনপি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তদবির করলে সংশয় জাগার মতো অনেক বিষয় সামনে চলে আসে।
হঠাৎ শুরু হওয়া এ ধরনের জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে এবং তাতে বিএনপির জড়িত থাকারও ইঙ্গিত দেন তিনি। মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে ‘আকিন গুম্প’ নামের একটি লবিস্ট ফার্মকে নিয়োগ দেওয়ার প্রমাণও তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা মার্কিন ফার্মকে মাসে ৪০ থেকে ৮০ হাজার ডলার দিচ্ছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুই বিদেশীর মৃত্যুকে আবারও বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে দেবে না।