চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। একইসাথে দালালদের দৌরাত্মে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও সাধারণ মানুষ।
লক্ষ্মীপুরের প্রায় ১৭ লাখ মানুষের চিকিৎসা সুবিধা দিতে ২০০৩ সালে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালকে ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটিকে ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ঘোষণা দেন।
এরই মধ্যে ২ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও বাড়েনি অতিরিক্ত ১শ’ শয্যার জনবল, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আর চিকিৎসক। ৩টি আলট্রাসোনোগ্রাফি মেশিন থাকলেও নেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে টাকা ছাড়া মেলে না জরুরি সরকারি ওষুধ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, প্রতিদিন এই হাসপাতালের বহিঃবিভাগে ১২শ’ থেকে ১৪শ’, জরুরি বিভাগে ২শ’ থেকে ২৫০ জন রোগী ভর্তি থাকে। জনবল সংকটের কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় কাঙ্খিত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছ না বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার।
হাসপাতালে কনসালটেন্ট ও জুনিয়র কনসালটেন্টসহ চিকিৎসকের ২২ পদের পরিবর্তে রয়েছে ১৮ জন। অর্থোপেডিক্স, চক্ষু ও প্যাথলজি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদও খালি। একইভাবে নার্স, আয়া, ব্রাদার, সুইপার, ঝাড়ুদার ও দারোয়ানসহ বিভিন্ন পদের সংখ্যা ১০৩টি হলেও আছে মাত্র ৫৫ জন।
হাসপাতালের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে জেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই আশা ভুক্তভোগী মানুষের।