লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জে প্রবাসী শাহেদের উঠান থেকে গৃহকর্মী ফারুক হোসেনের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের ফারুক হোসেন সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের পরাশগঞ্জ গ্রামের কারিমুল হকের ছেলে। সে ৮ বছর ধরে পাশ্ববর্তী বিনোদধর্মপুর গ্রামের প্রবাসী শাহেদ আলমের বাড়িতে কাজ করতো।
শাহেদ আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমাতে যায় পরে আর ঘর থেকে বের হয়ে আসেনি। কিন্ত সকালে উঠানে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেই। এ সময় মৃতদেহের পাশে বিষের বোতল ও ইঁদুর মারার ওষুধের প্যাকেট পাওয়া গেছে।
নিহতের বাবা কারিমুল হক ও তার স্বজনরা জানায়, পরিকল্পিতভাবে ফারুক হোসেনকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্নহত্যা বলে প্রচার করা হয়।
তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্টু বিচার দাবি করেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ঢাকা মহাখালিতে পাঠানো হবে। এর পর বলা যাবে, কী ঘটনা ঘটেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবদল্লাহ আল মামুন ভূইঁয়া বলেন, কিশোরে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।