মহিউদ্দিন মুরাদ: ডাকাত দলের হামলায় নিহত হয়েছেন যুবলীগ নেতা মো.মনির হোসেন (৩২)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীসহ পরিবারের আরও চারজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মনির ওই এলাকার আলী আহম্মদের পুত্র ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন ইটভাটায় মাটি সরবরাহের কাজে বৃহস্পতিবার ব্যাংক থেকে দু’ লাখ টাকা তুলে ঘরে রাখেন। রাত আড়াইটার দিকে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত মনিরের ঘরে ঢুকে তাকে বেঁধে রাখে। এ সময় চিৎকার ও চেচামেচি করে উঠলে মনির হোসেন ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ডাকাত দল। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীসহ আহত হন পরিবারের চারজন। নিহতের স্ত্রী গুরুতর আহত মিলনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত মনির আন্দারমানিক গ্রামের আলি আহম্মদ বাসুর ছেলে। পেশায় তিনি ইটভাটার মাটির সর্দার। ১৫ দিন আগে তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তার এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে।
সদর থানার ওসি আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী মনির নিহত ও তার স্ত্রী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুসাইন বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। ডাকাতরা ঘরে ঢুকে মনিরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার স্ত্রীর অবস্থাও গুরুতর।
জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্যা আল নোমান এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান এবং নিরাপরাধীদের হয়রানি না করার জন্য আহবান জানান।
পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিমতানুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দেন।
এর আগেও তেওয়ারীগঞ্জের পাশের ইউনিয়ন কুশাখালীতে ডাকাতদের গুলিতে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোসলেহ উদ্দিন মারা যায়। তার ঘরে ডাকাতিকালে তখন পরিবারের ৪ সদস্য আহত হয়েছিল।