চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

লকডাউনে প্রেমের গল্প: একসঙ্গে নিশো-মেহজাবীন-পলাশ

করোনাভাইরাসের কারণে সমস্ত শুটিং বন্ধ। কিন্তু সৃষ্টিশীল কিংবা কাজের মানুষকে কি দমিয়ে রাখা যায়? ফলত লকডাউনের এই সময়ে ঘরে বসেই নির্মিত হলো শর্টফিল্ম ‘ওয়েটিং’।

নির্মাণ করেছেন সময়ের তরুণ নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। আর এই শর্টফিল্মে নিজেদের ঘরে থেকে অভিনয় করেছেন আরফান নিশো ও মেহজাবীন। তাদের সঙ্গে আরও ছিলেন জিয়াইল হক পলাশ।

কোনোরকম ডিওপি, লাইট, প্রোডাকশন ও শিল্পীদের একত্রিত করা ছাড়াই প্রায় অসম্ভব এ কাজটি করেছেন তারা।

মঙ্গলবার রাতে সিলভার স্ক্রিনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হওয়া করোনাকালের মিষ্টি প্রেমের গল্পে নির্মিত এ শর্টফিল্মটির ব্যাপ্তিকাল মাত্র ১৩ মিনিট! অনলাইনে উন্মুক্ত হওয়ার পরেই ফেসবুক, ইউটিউবে বাহবা পাচ্ছে এ কাজ।

এ প্রসঙ্গে চ্যানেল আই অনলাইনকে কাজল আরেফিন অমি বলেন, এটি সম্পূর্ণ ঘরে বসে নির্মাণ করা কাজ। একেবারে সাধারণ গল্প দেখিয়েছি। যে তিনজন কাজ করেছেন তাদের আন্তরিকতা না থাকলে কোনোভাবেই কাজটি সম্পন্ন করা যেতো না। একদিকে কাজটি যেমন এক্সপেরিমেন্টাল অন্যদিকে চলমান নেতিবাচক ইস্যু ভুলে থাকার মতো।

তবে ‘ওয়েটিং’ শর্টফিল্মটি ১৩ মিনিটের হলেও শুটিং শেষ করতে প্রায় সপ্তাহখানে লেগেছে বলে জানান অমি। তিনি বলেন, আফরান নিশো ভাইয়ের অংশের কাজ শেষ হতে লেগেছে পাঁচদিন। কারণ তার মোবাইলে ভিডিও ধারণের অন্যান্য উপকরণে সমস্যা ছিল। মেহজাবীন আপু দেড় দিনেই তার অংশের কাজ করেছেন।

অমি আরও বলেন, মোবাইলে শুটিং ও ফ্রেমিং দেখে কেউ কেউ মনে করেছে ক্যামেরায় শুটিং করেছি কিনা, কিন্তু মোটেও তেমনটা নয়। পুরো কাজটাই প্রত্যেকে তাদের মুঠোফোনে ধারণ করেছেন।

কাজটি প্রসঙ্গে আফরান নিশো বলেন, আমার বাসায় স্ত্রী ও পাঁচ বছরের সন্তান রয়েছে। তারা এ কাজে হেল্প করেনি। আমি নিজের বাসায় শুটিং করেছি। ভিডিও ধারণ করতে একাধিকবার বেগ পোহাতে হয়েছে। নিজেই ফ্রেমিং করে নিজেই অভিনয় করেছি। এ এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা।

তবে মেহজাবীনকে শুটিংয়ে তার ছোটবোন সাহায্য করেছে। এ অভিনেত্রী বলেন, আমার ছোটবোন ক্যামেরায় ছিল, মেকআপ, পোশাকেও সে সাহায্য করেছে। এ জন্য দুদিনে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দেড়দিনে করা সম্ভব হয়েছে।

মেহজাবীন আরও বলেন, শুটিংয়ে একজন ডিওপি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা এই কাজটা করতে গিয়ে নতুন করে অনুভব করেছি। এছাড়া ক্যামেরার পিছনে লাইট, প্রডাকশনে যারা কাজ করে তারাও যে শুটিংয়ের অপরিহার্য অংশ সেটাও একাধিকবার মনে হয়েছে।

শর্টফিল্মে আফরান নিশোর ছোটভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল হক পলাশ। তিনি জানান, শুটিং করার জন্য বন্ধুর সাহায্য নিয়েছেন। এ কারণে আটদিন তাকে ওই বন্ধুর বাড়িতে থাকতে হয়েছে। আর জন্যই তার বাসা থেকে বাবা-মা ফোনে বারবার উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছিলেন।