চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

লকডাউনের মধ্যে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ জরুরি

রমজান মাস উপলক্ষে প্রতিবছর নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। রমজান শুরুর কয়েক মাস আগে থেকেই এই উর্দ্ধগতি লক্ষ্য করা যায়। এবছর সেই ধারার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশজুড়ে লকডাউন।

করোনার মধ্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যখন কমেছে, সে সময় নিত্যপণ্যের বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি মানে ভোক্তাদের কষ্ট বাড়া। কয়েক মাস ধরে চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। বাজারে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকার কাছাকাছি। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। মধ্যবিত্তরা সঞ্চয় ভেঙে খরচ মেটাতে পারলেও কর্মহীন মানুষ পড়েছে মহাসংকটে।

নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়াতে অসাধু ব্যবসায়ীদের কৌশলের সাথে সাথে পণ্য পরিবহনে পথে পথে চাঁদাবাজিসহ নানা অব্যবস্থাও দায়ী থাকে। লকডাউন পরিস্থিতিতে তা প্রকট হতে পারে বলে আমাদের শঙ্কা। এই বিষয়টিতে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া জরুরি বলে আমরা মনে করি।

সরকার ইতিমধ্যে প্রতিবছরের মতো যথারীতি ঘোষণা দিয়েছে, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা প্রস্তুত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ব্যবসায়ী নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, রমজানে ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। আবার রমজানে পণ্যের সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে তারতম্য থাকে। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্য অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক দক্ষ। সেক্ষেত্রে আপনারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাজার নিয়ন্ত্রণে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিয়ম, শৃঙ্খলা ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যা অতীতেও সবাই মিলে করা হয়েছে। এবারও সরকারের তেমনটি করার পরিকল্পনাও আছে।

বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে পবিত্র রমজান মাসে সেসব দেশের ব্যবসায়ীরা নানা ছাড়ে পণ্য বিক্রি করে বলে জানা যায়। এছাড়া সারাবছর ব্যবসা করা ব্যবসায়ীরা গরীব-স্বল্প আয়ের মানুষদের মাঝে দান-ছদকা করারও রীতি বজায় রাখে। আমাদের দেশে বিষয়টি পুরো উল্টো, রমজানে বাম্পার ব্যবসা করার জন্য বসে থাকেন বেশিরভাগ ব্যবসায়ী। বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। শুধু একতরফা সরকারের ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে মানবিক দিক বিবেচনায় ব্যবসায়ীদেরও নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনা জরুরি। সবার সম্মিলিত চেষ্টা ও আন্তরিকতা থাকলে এই পরিস্থিতি পরিবর্তন সময়ের ব্যাপার মাত্র।