ক্রাইস্টচার্চে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম টেস্টে ওয়েলিংটনে স্বাগতিকরা জিতেছিল ১০ উইকেটে। তার আগে ওয়ানডে সিরিজেও কোহলিদের হোয়াইটওয়াশ করে কিউইরা। যা দলটিকে মনে করিয়ে দিয়েছে বহু পুরনো তেতো স্বাদ!
টেস্টে ১১তম বার হোয়াইটওয়াশ হল ভারত। সবশেষ আট বছর পর পেলো এই তিক্ত স্বাদ। দুই টেস্টেই একরকম আত্মসমর্পণ করেছে সফরকারীরা। অথচ টি-টুয়েন্টি সিরিজে কিউইদের ৫-০তে হারিয়ে উড়ছিল দলটি। পরে ওয়ানডে সিরিজে পতনের মধ্য দিয়ে মাটিতে নামতে থাকে।
সোমবার ক্রাইস্টচার্চে আড়াই দিনেই জিতে গেছে নিউজিল্যান্ড। জিততে কিউইদের কেবল ১৩২ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল ভারত। স্বাগতিকদের দুই ওপেনার শতরানের জুটি গড়লে পথ সহজ হয়ে যায়। ল্যাথাম ৫২ ও ব্ল্যান্ডেল ৫৫ রানে ফিরেছেন।
প্রথম ইনিংসে জেমিসনের ৫ উইকেট নেয়ার দিনে ২৪২ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। কিউইরা প্রথম ইনিংসে তোলে ২৩৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে সাউদি-বোল্টের তোপে মাত্র ১২৪ রানে গুটিয়ে যান কোহলিরা। জবাবে জয় তুলতে ৩৬ ওভার ব্যয় করতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে।
সেই ২০১১-১২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরের চার টেস্টে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারত। তারপর দীর্ঘ বিরতি, আবারও দলটি পড়ল এমন পরিস্থিতিতে। নিউজিল্যান্ড সফরের আগে ২৩ সিরিজের ১৬টিতে জয়ের স্মৃতি নিয়ে উড়াল দিয়েছিল ভারত। যারমধ্যে ৯ সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের কৃতিত্বও আছে।
টানা পাঁচ সিরিজ জিতে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে টেস্টে চার রেটিং হারাল ভারত। এখনও অবশ্য আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরেই আছে কোহলির দল। কেন উইলিয়ামসনের দল টানা সাফল্যে র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে উঠে এসেছে শুধু। তাদের রেটিং পয়েন্ট এখন ১১০, ভারতের ১১৬।
অস্ট্রেলিয়া ১০৮ রেটিং নিয়ে একধাপ নেমে তিনে, চারে ইংল্যান্ড ১০৫ ও পাঁচে সাউথ আফ্রিকা ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে। বাংলাদেশ আছে নয় নম্বরে, ৬১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে। টাইগারদের নিচে কেবল সাদা পোশাকের নবীন সদস্য আফগানিস্তান।