চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন ড. ফেরদৌসি কাদরী

এ বছর র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন আইসিডিডিআর’বি-র সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. ফেরদৌসি কাদরী। 

বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য টিকা আবিস্কারে তিনি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।

ফেরদৌসি কাদরী ছাড়াও আরও চারজন এবছর এই পুরস্কার পেয়েছেন।  তারা হলেন, পাকিস্তানের মুহাম্মদ আমজাদ শাকিব, সাউথইস্ট এশিয়ার স্টিভেন মুন্সি, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠান ওয়াচডক এবং ফিলিপাইনের রবার্টো বালোন।

বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ফেরদৌসি কাদরী ছোটতেই নিজেকে চিকিৎসা গবেষণায় নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে ১৯৮৮ সালে তিনি ঢাকায় অবস্থিতআন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি)তে যোগদান করেন।

তিনি সংক্রামক রোগ, ইমিউনোলজি, ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট এবং ক্লিনিকাল ট্রায়াল নিয়ে কাজ শুরু করেন।

কলেরা এবং টাইফয়েডের বিরুদ্ধে লড়াইটাই তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবার দুর্বল ব্যবস্থার জন্য এশিয়ার এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে এটা প্রধান রোগ।

তিনি প্রাপ্তবয়স্ক, শিশু, এমনকি নয় মাস বয়সী নবজাতকদের জন্য টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (ভিআইটিসিভি) এবং সাশ্রয়ী মূল্যের মুখে খাওয়ার কলেরা ভ্যাকসিন (ওসিভি) তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

২০১৪ সালে তিনি ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (ideSHi) প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান বায়োমেডিক্যাল গবেষণা পরিচালনা করে এবং প্রশিক্ষণ কোর্স এবং একটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা করে। এটি বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক ক্রিয়াকলাপের একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

এর আগে ২০১৩ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমীর বার্ষিক সি. এন. রাও  পুরস্কার পান ফেরদৌসি কাদরী।