ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এরই মধ্যে সারাদেশে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। চট্টগ্রামের নারী ও শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে শতাধিক।
পটুয়াখালীর দশমিনায় ও ভোলার তজুমুদ্দিনে ঝড়ে ৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া
গেছে। ভোলায় ইলিশার মেঘনায় বালুবাহী দু’টি কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ
রয়েছেন ৪জন। কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্রাণ হারান ২ জন। আহত হয়েছে
অর্ধশতাধিক মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েকশ ঘরবাড়ি।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রবল জোয়ারে পটুয়াখালীতে বেড়ি বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকা। সব উপকূলীয় অঞ্চলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সমুদ্র বন্দরগুলো থেকে দূরে থাকা জাহাজ নিরাপদ দূরত্বে সরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে পণ্য উঠা-নামা।
গতকালই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সারাদেশের নৌ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাতিল করা হয় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট।
এরইমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ৩৮৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, মোতায়েন করা হয়েছে ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে তথ্য জানতে আবহাওয়া অফিসের হটলাইন নম্বর ১০৯৪১।