মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রাণের ভয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ ভালোবাসা বিশ্বদরবারে অাজ প্রশংসিত।
তবে এসব রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে ফিরিয়ে দিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে চীনের সমর্থন খুবই জরুরি বলে মনে করেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের সাখুয়া আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিম আহমেদ। তার মতে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ সসম্যা সমাধানে জড়ালো ভূমিকা পালন করতে হবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে।
হাসিম আহমেদ তার ফেসবুক স্ট্যটাসে লিখেছেন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান কেবল মানবিক নয়, অসাধারণ নেতৃত্বসুলভও। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। বিপন্ন মানুষের পাশে বাংলাদেশের এই যে মানবিক অবস্থান এটাকে মিয়ানমার ও তার পাশে থাকা বন্ধুরা যাতে দুর্বলতা না ভাবতে পারে, সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সতর্কতা প্রয়োজন।
একই সাথে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই ইস্যুতে বাংলাদেশের সমর্থন বৃদ্ধিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে জোরালো ভাবে। মিয়ানমার ইস্যুতে আমাদের কুটনৈতিক সাফল্য নগণ্যই বলা যায়। শুনা যাচ্ছে জাতিসংঘের স্থায়ী কমিটির জরুরি সভায় রোহিঙ্গা ইস্যু আলোচনায় আসছে। কিন্তু এতে আমাদের প্রাপ্তি কিছুই হবে না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
কেননা, স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য রাষ্ট্র চীন এবং রাশিয়া মিয়ানমারের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। এক্ষেত্র কেবল ভূরাজনৈতিক স্বার্থের কথা বলে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায় এড়াতে পারে না। রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে প্রতিবেশী ভারত একই সাথে চীনের সমর্থন আমাদের পেতেই হবে। এরজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা অবশ্যই বাড়াতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব কাজে লাগতে পারে।