রোহিঙ্গা সমস্যাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাস এবং ওই দেশের কুটনীতিকদের নিরাপত্তায় কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। অন্য দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে কিছু জায়গাকে কূটনীতিকদের জন্যে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ঢাকায় দূতাবাস ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেয় বাংলাদেশ পুলিশ। হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা ও বিদেশী হত্যাকাণ্ডের পর কূটনীতিক পাড়াসহ পুরো গুলশান ও বারিধারা এলাকাকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি কিছুটা কমলেও তল্লাশি চলছে আগের মতোই। এ কারণে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন ওইসব এলাকায় চলাচল করা জনসাধারণ।
মার্কিন দূতাবাসের সামনে নতুন বাজার এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে অবৈধ নার্সারী। গুলশান-বারিধারা এলাকায় শুধু অনুমোদিত হলুদ রং-এর রিকশা চলাচলের কথা থাকলেও চলছে বাইরের রিকশা। তারপরও প্রয়োজনের তুলনায় কম।
নিরাপত্তার কারণে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে ঢাকা চাকা নামে বাস চলাচল শুরু করলেও সমস্যা মিটছে না তাতে।
এরকম অবস্থায় রাখাইন রাজ্যের ঘটনায় ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ। আছে গোয়েন্দা নজরদারিও।
ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের ডিসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, অ্যাম্বাসাডরদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা হচ্ছে আমরা উনাদের নিরাপত্তা দিচ্ছি। উনাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রক্ষা করি।
গুলশান অপরাধ বিভাগের ডিসি এস এম মোস্তাক আহমেদ বলেন, এখানে নতুন করে আরো ৬০০ সিসিক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করছি। চেষ্টা করছি বারিধারায় যারা ঢুকবেন তারা যেন পাস নিয়ে ভেতরে ঢোকেন।
কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় সরকারের কাছে নতুন কিছু প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে পুলিশ। মোস্তাক আহমেদ আরো বলেন, আমাদের ডিফাইন কোনো ডিপ্লোম্যাটিক ইনক্লিপ নেই। সেটা একটা বড় সমস্যা। তাই সরকারের কাছে ডিপলোম্যাটিক ইনক্লিপ নির্ধারণের প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সেটা রাষ্ট্র আমাদের নির্ধারণ করে দিলে ভালো হয় যেখানে ডিপ্লোম্যাটরা থাকবেন।
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আরো বলেন, হলি আর্টিজানের পরে আমরা সবাই একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছি।
ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে দিনের চেয়ে রাতে বিধিনিষেধ থাকছে অনেক বেশি।