মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সমর্থন দিয়েছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান।
শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রুনাই সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে না পাঠানোর কারণে তারা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হলে এর দায়ভার বিদেশি সংস্থাদেরও নিতে হবে।
তিনি বলেন: কিছু করার থাকলে আপনারা মিয়ানমারে গিয়ে করেন। কিছু মানুষ যতটা এই রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করতে চায় ততটা তাদের ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে করতে আগ্রহী নয়। কক্সবাজার যাওয়া সহজ, থাকা আনন্দের। যেসব স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গাদের সেবা দিতে আসেন, তারা বোধ হয় নিজেদের সেবার দিকেও তাকান। রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে চাইলেও অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চায় না তারা ভাসানচরে যাক। সন্ত্রাসের ঝুঁকি তো আছেই। কিন্তু আমরা প্রস্তুত আছি। তবে এটা শুধুই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে হবে না, জনগণকেও সচেতন হতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন: গত ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক সিরিজ বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণ করছি। এ হামলায় আমার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের মেয়ের ছেলে আমার নাতি ৮ বছরের নিষ্পাপ শিশু জায়ান চৌধুরী নিহত হয়েছে। জায়ানের বাবা মশিউর হক চৌধুরী এখন পর্যন্ত গুরুতর আহত অবস্থায় শ্রীলঙ্কার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
তিনি বলেন: আমি ব্রুনাইয়ের রাজধানীতে পৌঁছানোর পর এই মর্মান্তিক হামলার খবর শুনতে পাই। আমাদের প্লেনটা যখন আকাশে উড়ছিল তখন খবর আসলো এ ধরনের হামলা হয়েছে। পরবর্তীতে ওখানে নেমে বিস্তারিত খবরটা পাই। জায়ানের মৃত্যুর খবর পাই। এ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে একটি শোক বার্তা পাঠাই। আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে কার্যকর এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।