তালিকা তৈরি ও যাচাই-বাছাইয়ের জটিলতায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নির্ধারিত সময়ে শুরু হলো না। এজন্য বাংলাদেশের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে মিয়ানমার।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সদিচ্ছার অভাবেই তারা এমন আচরণ করছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মহলকে অন্তর্ভুক্ত করে চাপ অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দেয় বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহল। এ অবস্থায় তাদের ফিরিয়ে দিতে দু মাস আগে চুক্তি সই করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করা হয়। সবশেষ ১৬ জানুয়ারি এ গ্রুপের প্রথম বৈঠকে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ সই হয়। মিয়ানমার বারবার শর্ত পরিবর্তন করায় তালিকা তৈরির কাজ পিছিয়ে যায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রত্যাবাসনের চুক্তিতে তাড়াহুড়ো না করে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের আরও কৌশলী হওয়ার প্রয়োজন ছিলো।
তারা বলছেন, চীন ও ভারতের সমর্থনেই দ্বিপাক্ষিকভাবে এগিয়েছে বাংলাদেশ। তাই রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফেরানো নিশ্চিত করতে এ দুটি দেশের সাথে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে।
রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মহলকে সোচ্চার থাকার আহ্বান বিশ্লেষকদের।
রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়নি এখনও। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার তাগিদ কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের।
পরিবারভিত্তিক তালিকা করার কাজ শুরু হয়েছে। এরপর গ্রাম এবং এলাকার ভিত্তিতে সমন্বয় করতে হবে।
নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, নিজ জমিতে ফেরার নিশ্চয়তাসহ ৮ দফা দাবি রোহিঙ্গাদের চুক্তি অনুযায়ি পাঁচটি ট্রানজিট ক্যাম্পের কথা থাকলেও মিয়ানমার এ পর্যন্ত দুটি ক্যাম্পের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।
সীমান্তে অর্ন্তবতীকালীন শিবিরের মতো অবকাঠামো তৈরির কাজ বাকি আছে।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: