কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে থাকা রোহিঙ্গাদের দুরবস্থা জানিয়ে তাদের সহায়তায় যে কোনো উপায়ে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানালেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী এবং বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি শিশুবান্ধব এলাকা (চাইল্ড ফ্রেন্ডলি স্পেস) থেকে বৃহস্পতিবার দেয়া ফেসবুক লাইভে এ আহ্বান জানান তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুর্বল স্থাপনাগুলোতে এই ঝড়বৃষ্টির সময় আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো কতটা অনিরাপদ ও অসহায় তা তুলে ধরেন প্রিয়াঙ্কা। অর্থ, সরঞ্জাম, খাদ্য, শ্রম, সমর্থন, যে কোনো কিছু দিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে সবার প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শনে রয়েছেন। এ নিয়ে লাইভে তিনি বলেন, বর্তমানে কক্সবাজারে অনেক গরম। এর মাঝে শরণার্থীদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই।
‘ল্যাট্রিনগুলো চাপকলসহ পরিষ্কার পানির উৎসগুলোর খুব কাছাকাছি। এ কারণে বৃষ্টি হলে ল্যাট্রিনগুলো ভরাট হয়ে উপচে পড়ে আর পানির উৎসগুলোকে দূষিত করে ফেলে। যার ফলে নানা রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে,’ বলেন প্রিয়াঙ্কা।
রোহিঙ্গারা বাঁশ, চাটাই আর প্লাস্টিকে তৈরি বদ্ধ, দরজা-জানালাবিহীন ঝুপড়িতে বসবাস করে উল্লেখ করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, তাদের কোনো চাকরি নেই, কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। শিশুরা শুধু এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে, বোঝার চেষ্টা করছে তাদের সাথে আসলে কী ঘটল।
শুধু রোহিঙ্গা নয়, বিশ্বের সব শরণার্থীদের অবস্থার পরিবর্তনে ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী। বলেন, সমাজকে এদের প্রতি, বিশেষ করে শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।
প্রিয়াঙ্কা জানান, ইউনিসেফের সঙ্গে ১২ বছর কাজ করে তিনি দেখেছেন, সুবিধাবঞ্চিত শরণার্থী শিশুরা সবচেয়ে বেশি চায় শিক্ষিত হতে। তারা স্কুলে যেতে চায়, লেখাপড়া করতে চায়। সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তাদের এ সুযোগ করে দেয়াটা দরকার বলে মন্তব্য করেন এ শুভেচ্ছা দূত।
এছাড়াও ফেসবুক লাইভে দর্শকদের আরও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ফেসবুক লাইভটি দেখুন এখানে: