যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। জাতিসংঘের সদর দফতরে জাতিসংঘের সংস্কার সম্পর্কিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর শেখ হাসিনার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এ আশ্বাস দেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে সাংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ট্রাম্প রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর আগে বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশটিতে জাতিগত নির্মূলের নীল-নকশার নির্যাতনে অনুরূপ সংখ্যক রোহিঙ্গা নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে বাস করছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের আগে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রানি সংস্থাটির সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বলেন, তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চান। শরণার্থীদের অবস্থা দেখতে তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও জানান জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার।
শেখ হাসিনা বলেন, এই ইস্যুতে জাতিসংঘ সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন ছাড়া অন্যসব বিষয়ে একত্রে কাজ করবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে রোহিঙ্গাসহ সব ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকা এবং এ সংকট সমাধানে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। সুষমা যৌথ কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে ২৩ ও ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দফতরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তেসোরিং তোবগে’র সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরের শেষে মহাকাশে বাংলাদেশ যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে তা থেকে সেবা প্রদানের অনুরোধ জানান।
তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকেও ব্যান্ডউইথ সেবা গ্রহণের আগ্রহও প্রকাশ করেন।