রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ানকে পাশে পেতে চায় মিয়ানমার। এর অংশ হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সু চি অংশ না নিলেও, জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইড লাইনে থাকা আসিয়ানের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন মিয়ানমার প্রতিনিধি দল।
সেখানে আসিয়ানকে নিজেদের পক্ষে পেতে রাখাইন বিষয়ে কিছু ব্রিফিংও করবেন প্রতিনিধিদল। এবং সেখানে সবার সমর্থন পেতে সব ধরনের প্রচেষ্টাই চালাচ্ছে মিয়ানমার।
মিয়ানমার টাইমস জানায়, ২৩ সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সাইড লাইনে থাকা নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এটিই হবে সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয়।
সূত্র জানিয়েছে, আসিয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা রাখাইনের বিষয়ে মিয়ানমার প্রতিনিধিদের একটি ব্রিফিং শুনবেন। মিয়ানমারকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়ার জন্য আসিয়ানও মোটামুটি প্রস্তুত। তবে মিয়ানমারের সম্মতি ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নিতে তারা সক্ষম হবে না।
নিয়ম অনুসারে সাধারণত আসিয়ান কখনো কোনো দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে আমন্ত্রণ না জানালে হস্তক্ষেপ করে না।
রোববার ফিলিপাইন ও মিয়ানমারের প্রধানরা মিলে একটি যৌথ বিবৃতি তৈরি করেছে এবং সেখানে ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো অন্যান্য সদস্য দেশগুলোরও অংশগ্রহণ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সেই বিশেষ মন্ত্রীসভার মিটিংয়ের আগেই বা সেই সময়ে এই রাখাইন বিষয়ে যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হবে।
গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই সেনা অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে পাচঁ হাজার মানুষ। জীবন বাঁচাতে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে হাজার হাজার শিশু। ওই শিশুদের সামনে তাদের বাবা-মাকে হত্যা করা হয়েছে। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে মাইলের পর মাইল পাহাড়ি পথ হেঁটে তারা অনেকে আশ্রয় পেয়েছে বাংলাদেশে।
রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিরতা আনতে এবং সহিংসতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়গুলোর পুনর্গঠনের কাজে সহযোগিতা করতে আসিয়ান প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে।