আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অতিরিক্ত লোক গাদাগাদি করে বসবাস করায় এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ এখনও অব্যাহত থাকায় তাদের জন্য আরও মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়: গত ৯ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত আরও প্রায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে কক্সবাজারে জরুরি মানবিক সহায়তার চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় দশ লাখ শরণার্থীর মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয়, খাদ্য, পানি, স্যানিটেশন এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী সামগ্রীর জন্য মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করছে।
আইওএম বাংলাদেশ মিশন প্রধান শরৎ দাস বলেন: পরিস্থিতির ভয়াবহতা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এসব লোক মারাত্মক পুষ্টিহীনতার শিকার হচ্ছেন। তাদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যানিটেশন প্রয়োজন। তাদের জীবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তারা সঙ্কটজনক অবস্থায় বসবাস করছে
আইওএম’র সিনিয়র আঞ্চলিক স্বাস্হ্য কর্মকর্তা প্যাট্রিক ডিগান বলেছেন: স্বল্প স্থানে অতিরিক্ত লোক গাদাগাদি করে বসবাস করায় এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যানিনিটেশনের অভাবে মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর সংখ্যা অধিক। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুবিধার অভাব রয়েছে। ফলে মাতৃত্ব, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যে ঝুঁকি রয়েছে।
আইওএম’র বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ আগস্টের পর থেকে আইএসসিজি ২ লাখ ১০ হাজারের অধিক সংখ্যক লোককে স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছে। টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ১২টি মেডিকেল দল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৯টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
‘সরকার সাহায্য সংস্থাগুলোর সহায়তায় ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সের প্রায় ৩৫ হাজার ৫শ শিশুকে এবং ৫ বছরের কম বয়সের ৭২ হাজার শিশুকে পোলিও ভ্যাকসিন টিকা দিয়েছে এবং ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়েছে।’
এছাড়া গত সপ্তাহ থেকে কলেরা ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়।