রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন। রাজকুমারী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং রাখাইন থেকে চলে আসার পেছনের ঘটনা প্রবাহের বিষয়ে কথা শুনেন তিনি।
সে সময় রোহিঙ্গাদের কথা মনযোগ সহকারে শুনেন ম্যারি এলিজাবেথ। রাজকুমারী পরিদর্শনকালে ক্যাম্পের বসবাসরত রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলেও যান বলে জানান ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএন কমান্ডার (এসপি) নাইমুল হক।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে কুতুপালং ১৪ এপিবিএন আওতাধীন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৫ সিআইসি অফিসে তিনি এলে আরআরআরসি কমিশনার শাহ মো. রেজওয়ান হায়াতের নেতৃত্বে একটি দল তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসপি নাইম জানান, এখানে কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময়ের পর তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওয়াচ টাওয়ার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দৃশ্য অবলোকন করেন। তারপর যান রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৬ পরিদর্শন করেন।
সে সময় রোহিঙ্গা শিশু’র সাথে ছবি তোলেন রাজকুমারী । এরপর বেলা সোয়া ১২টা হতে সোয়া ২টা পর্যন্ত তিনি রোহিঙ্গা কো-অরডিনেশেন সেন্টারে অবস্থান করে আরআরআরসি কমিশনার, সকল ক্যাম্প সিআইসি ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এরপর ৪ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ এফডিএমএনের সাথে কথা বলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি মায়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারের কথা শুনেন।
পরবর্তীতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বৃক্ষরোপন করে বনায়ন এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সবুজ পরিবেশ পুনরুদ্ধার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিল এর অন্যান্য কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত হন বলে জানানো হয়।
রাজকুমারী বিকেলে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিল পরিচালিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন।
সেখান থেকে ফিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন এবং বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে রাজকুমারী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরের মানবিক কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় করেন।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে একটি বেসরকারি বিমানে কক্সবাজারে পৌঁছান ড্যানিশ রাজকুমারি। বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মো. হাছানুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রাজকুমারী হেলিকপ্টারে সাতক্ষীরার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে।