রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পোড়ানো বাড়িঘর এবং জমির দখল নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য এসব জমি ও সম্পত্তি সরকারি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী উইন মায়াত আয়ে।
জাতিসংঘ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ঘরহারা রোহিঙ্গাদের পুনরায় বসতি স্থাপনের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার সরকার এ কথা জানায়।
মিয়ানমার সরকারের দাবি, যেসব ভূমি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হবে সেগুলো ‘রোহিঙ্গা জঙ্গি’রাই পুড়িয়েছে। মায়াত আয়ে বলেন, মিয়ানমারের আইন অনুসারে, পুড়ে যাওয়া ভূমি সরকার অধিগৃহীত ভূমিতে পরিণত হয়। তাই আইন মোতাবেক এখন সেগুলো সরকারি জমি।
মন্ত্রী বলেন, পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যেতে চায়, সরকার তাদের ‘যাচাই’ করার জন্য তৈরি আছে। এজন্য মিয়ানমার ১৯৯৩ সালের প্রত্যাবর্তন প্রচেষ্টার সময় আসা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী একটি ‘জাতীয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়া’ শুরু করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তের দু’টি পয়েন্টে এই যাচাইকরণ বা ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চালাবে মিয়ানমার সরকার।
‘যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শেষে শরণার্থীদের বসতি স্থাপন করা হবে দারগাইজর গ্রামে। আপাতত এটাই আমাদের পরিকল্পনা,’ বলেন মায়াত আয়ে। তবে কতজন শরণার্থী মিয়ানমারে ফেরত যেতে চায় সেই ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রাম ছিল ৪শ’রও বেশি। তার প্রায় অর্ধেকই পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করলেও মিয়ানমার সরকার বলছে এই সংখ্যা ৫শ’।