মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সাবু বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিপুল সংখ্যক নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন করাই অন্যতম সমাধান। আর এ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভ্রাতৃপ্রতিম মালয়েশিয়া।
“বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার দীর্ঘদিনের খুব সৌহাদ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের মত একটি ছোট্ট জনবহুল দেশে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন তা বিশ্বে বিরল।”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনগনের উচ্ছসিত প্রশংসা করে তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। বলেন, রোহিঙ্গারা এদেশে আশ্রয় নেওয়ার শুরু থেকে মালেশিয়া সরকার সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
বৃস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে মালয়েশিয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সাবু এসব কথা বলেন।
মালয়েশিয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধা প্রায় সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কুতুপালং ডি-৫ ব্লকের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে তাদের সুখ দুঃখের কথা জানতে চান। পরে তিনি উখিয়ার টিএন্ডটি এলাকায় মালয়েশিয়া পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বের নিপীড়িত উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠির দুর্দিনে যখন অনেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল তখন বাংলাদেশ নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও মানবতার দরজা খুলে দিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে রক্ষা করেছে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আসিয়ান ও জাতিসংঘসহ আর্ন্তজাতিক বিশ্ব কাজ করছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের মর্যদা সহকারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোই সব চেয়ে উত্তম সমাধান বলে তিনি মনে করেন।
এসময় স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন। ১৮ সদস্যের মালয়েশিয়ান প্রতিনিধিদল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্প ত্যাগ করেন।