চীনের প্রধানমন্ত্রীর লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে এ বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য চাল সরবরাহের আশ্বাসসহ পর্যটন ও সংস্কৃতি, পানিসম্পদ, বিনিয়োগ সংক্রান্ত তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং বিদ্যুৎ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক তিনটি চুক্তিসহ মোট ৭টি চুক্তি সই হয়েছে।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত এক ভোজসভাতেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
একই দিন বিকেলে তিনি সিসিপিআইটিতে চীনের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি বিজনেস রাউন্ডটেবিলে অংশ নেবেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী ৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
৫ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রীর চাইনিজ থিংক ট্যাংক ‘পাঙ্গোয়াল ইনস্টিটিউশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। চীনের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে গেস্ট হাউসে দেখা করার কথা রয়েছে এবং এনপিসি’র চেয়ারম্যান লি ঝাংশুর সাথে প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দিয়ায়োতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় এক বৈঠকে মিলিত হবেন। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনা প্রেসিডেন্টের আয়োজিত একটি ভোজ সভায় যোগ দেবেন।
চীন সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ৬ জুলাই সকাল ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন এবং একই দিন বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) পৌঁছবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গত শুক্রবার বলেন, আগামী ২ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ৫ দিনের সরকারি চীন সফরে রোহিঙ্গা সমস্যাটি আলোচনায় সর্বাধিক প্রাধান্য পাবে এবং এ সময় ঢাকা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে রোহিঙ্গা সমস্যাটি আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে। আমরা বিশ্বাস করি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে (রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে) বেইজিং কার্যকর ভূমিকা রাখবে।