রাখাইনে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারবে কি না- এটাই এখন বড় প্রশ্ন বলে মনে করছে জাতিসংঘ।
আগামী সপ্তাহে জেনেভায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় সমস্যার সমাধান এবং বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার উপায় খোঁজার চেষ্টা করা হবে বলে জানান ইউএনএইচসিআর প্রধান। সংকটের দ্রুত নিরসনের আহ্বান জানিয়ে, সমস্যাটির সমাধান না হলে পুরো অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
তাই রাখাইনের সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন সংস্থাটির শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্দি। এছাড়া এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রোহিঙ্গা সংকটে তার সাম্প্রতিক সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপ্পো গ্রান্দি বলেন, স্পষ্টতই সংকটের সৃষ্টি মিয়ানমারে এবং সমাধানও মিয়ানমারকেই করতে হবে। জাতিসংঘের সাবেক প্রধান কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত জাতিসংঘের উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের পাশাপাশি তিনি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতের জন্য মিয়ানমারকে আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে মহামারির আশঙ্কার কথাও জানান ইউএনএইচসিআর প্রধান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশে থাকায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে সীমান্ত খুলে রাখা এবং রোহিঙ্গাদের সহায়তায় স্থানীয়দের সহযোগিতা সত্যিই প্রশংসীয়।
ইউএনএইচসিআর প্রধান বলেন, বাংলাদেশ অধিক সম্পদশালী দেশ না হয়েও যেভাবে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তা বিশ্বে অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস।
এছাড়া বারবার তাগিদ সত্ত্বেও রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ না করায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরও চাপ দিতে একসাথে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র।