মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা এবং ধর্ষণসহ বর্বর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) প্রতিনিধি দল।
শুক্রবার কক্সবাজারের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে ওআইসির প্রতিনিধি দল। এসময় তারা সাংবাদিকদের বলেন: বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রতি সর্বোচ্চ মানবিকতা প্রদর্শন করেছে। বিষয়টি বিশ্বের বিরল উদাহারণ।
ওআইসি’র ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্মানেন্ট হিউম্যান রাইটস কমিটির (আইপিএইচআরসি) চেয়ারপার্সন ড. রশিদ আল বালুসি বলেন: আমরা দু’দিন ধরে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেছি। এতে আমরা যতটুকু জেনেছি তাতে বুঝা যায়, তাদের উপর গণহত্যা এবং ধর্ষণসহ বর্বর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
প্রতিনিধিদলের সাথে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওআইসির ভাইস চেয়ারম্যান মেড এসকে ক্যাগওয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ড. রাইহানাহ বিনতে আবদুল্লাহ, সাবেক রাষ্ট্রদূত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জমির, আবদুল ওহাব, মাহমুদ মোস্তাফা আফিফি, এডামা নানা, নির্বাহী পরিচালক মার্গোব সেলিম বাট, হাফিদ এল হাসমি, আকমেদ আল গামদি, হাসান আবেদিন, মাহা আকিল, আবদুল্লাহ কাবি ও মোহাম্মদ গালাবাসহ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে এই প্রতিনিধিদল। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি, মানবিক সংকট ও চাহিদাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলটি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ওআইসি প্রতিনিধি দলের এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে।
ওআইসি’র স্বাধীন স্থায়ী মানবাধিকার কমিশন এবং মহাসচিবের দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে এই প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়। তারা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ওআইসি মহাসচিবের কাছে প্রতিবেদন দেবে।
এছাড়া আগামী মে মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও এই প্রতিবেদন উত্থাপন করা হবে।