সৌদি আরবে কোটার অতিরিক্ত ৫ হাজার বাংলাদেশী হাজির বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ‘আল্লাহর মেহমান’দের কাছে থেকে দুর্নীতিবাজরা হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এতে ভোগান্তিতে রয়েছেন শেষ মুহুর্তে যাওয়া হাজিরা।
বাংলাদেশ থেকে হজ করতে শেষ মুহুর্তে সৌদী আরব গিয়েছিলেন কোটার অতিরিক্ত ৫ হাজার বাংলাদেশী। এদের পুরো হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিলো ১০ সদস্যের কমিটির কাছে। কিন্তু এই হাজিরা সৌদী আরব পৌঁছেই পড়েন নানা ভোগান্তিতে। তাদের রাখা হয় কাবা শরীফ থেকে অনেক দূরে পাহাড়ের উপরে, যেখানে খাওয়া দাওয়ার কোনো ব্যবস্থাই নেই।
ভুক্তভোগি হাজিরা জানান, তাদের প্রায় দশতলা উঁচুর পাহাড়ে রাখা হয়। কোনো ধরণের সেবা তারা পায় নি।
তাদের বাড়ি ভাড়া বাবদ নেওয়া হয়েছে, জনপ্রতি ৮৫০ সৌদি রিয়েল করে। অথচ হাবের নেতারাই বলছেন ঐ এলাকার সর্বোচ্চ বাড়ীভাড়া হতে পারে ৩শ থেকে ৪শ রিয়াল।
হাবের নির্বাহী সদস্য আফতাব চৌধুরী বলেন, যেখানে গাড়ী যেতে অসুবিধা হয় সেখানে কিভাবে হাজিদের রাখা হয়েছে, এর সুষ্ঠ তদন্ত প্রয়োজন।
কমিটির অন্যতম প্রধান সদস্য হাবের মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ দুর্নীতির দায় চাপাতে চান অন্যের ঘাড়ে।
তিনি জানান, সাবেক সভাপতি জামালউদ্দিন একটি কোম্পানীর সঙ্গে কথা বলে ঐ হিসেবে বাড়ি ভাড়ার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়। পাঁচ হাজার হাজির ভোগান্তির দায় নিতে নারাজ ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, এদের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছিল। তারই সকল কিছু করেছে। মন্ত্রী হিসেবে আমি কিছুই করি নাই। তবে বাড়ি ভাড়া বেশী নেওয়া বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
মক্কা এবং মদিনায় বাড়ি ভাড়া নেয়ার দায়িত্বে থাকা হাবের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন, রোশানল থেকে বাঁচতে সৌদি আরবেই গা ঢাকা দিয়েছেন।